বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে হবে: টুকু

  •    
  • ১২ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৩৬

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের ইতিহাস পাল্টে ফেলছে অভিযোগ করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আজকে ইতিহাসে একটামাত্র পাতা আছে, যে ওরা ছাড়া স্বাধীনতাযুদ্ধে আর কেউ যায় নাই। তাহলে বাকিরা গিয়ে কী করেছে। মূলত এ দেশের খেঁটে খাওয়া মানুষ, লুঙ্গি পরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে।’

খালেদা জিয়া মানুষের কথা বলেন এ জন্য তাকে জেলে রেখে স্লো পয়জনিং করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।তিনি বলেন, ‘রাজপথকে প্রকম্পিত করে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। গুলি খেতে হবে। রাজপথ রঞ্জিত করতে হবে। খালেদা জিয়া মুক্তির আন্দোলনে যদি আমার শরীরে গুলি লাগে তবে আমি গর্বিত শহীদ। প্রতীকী নয়, আসল কাফনের কাপড় পরে জেলের তালা ভেঙে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।’খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেয়ার দাবিতে বুধবার বিকেলে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।নগরের উপকণ্ঠের টুকেরবাজারে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার।প্রধান অতিথির বক্তব্যে টুকু বলেন, ‘গণতন্ত্রের কাণ্ডারি খালেদা জিয়া জনগণের ভাষা বোঝেন। তিনি আজ পর্যন্ত যত জায়গা থেকে নির্বাচন করেছেন সবগুলোতে জয়লাভ করেছেন।

‘আর খালেদা জিয়াকে যিনি বন্দী করে রেখেছেন তিনি নির্বাচনে সাদেক হোসেন খোকা ও মেজর মান্নানের কাছে পর্যন্ত পরাজিত হয়েছেন। পরাজিত হওয়ার পরে ঢাকায় আর নির্বাচন করেননি।’তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে সংসদীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন। তিনি কেয়াটেকার সরকার দিয়েছিলেন এবং এর পরের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তিনি বিরোধীদলীয় নেত্রী হয়েছিলেন। একেই বলে গণতন্ত্র।

‘তিনি চাইলে সেদিন আন্দোলন দমিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, কারণ তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।’বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের ইতিহাস পাল্টে ফেলছে অভিযোগ করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আজকে ইতিহাসে একটামাত্র পাতা আছে, যে ওরা ছাড়া স্বাধীনতাযুদ্ধে আর কেউ যায় নাই। তাহলে বাকিরা গিয়ে কী করেছে। মূলত এ দেশের খেঁটে খাওয়া মানুষ, লুঙ্গি পরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে।’

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, এনামুল হক, তাহসীনা রুশদীর লুনা, দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকীসহ আরও অনেকে।

সকাল থেকেই সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা এই সমাবেশস্থলে এসে হাজির হন। বিকেলে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় টুকেরবাজারের মাঠ।

এ বিভাগের আরো খবর