ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে চলতি বছরে সরকার প্রায় ১৬ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করবে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এ তেল ক্রয় করবে।
এতে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। বুধবার ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলাদা দুটি দরপ্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিসভা পরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে আসছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে দেশে দাম কমানো হবে কি না– এ প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমার দেখার বিষয় নয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। যদি আমার পর্যায়ে বিষয়টি আসে, তাহলে অবহিত করা হবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে আগে দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এখন নিম্নমুখী। নিশ্চয়ই সরকার বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। আমার বিশ্বাস, যখন যেটা প্রয়োজন, সেটা অবশ্যই সরকার করবে।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, ‘দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে জিটুজি ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান (পিটিটিটি থাইল্যান্ড, ইএনওসি আরব আমিরাত, পেট্রোচায়না বিএসপি ইন্দোনেশিয়া, পিটিএলসিএল মালয়েশিয়া ও ইউনিপেক চীন) থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ১৪ লাখ ৯০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল ক্রয় করা হবে।
এ ছাড়া ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড থেকে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২২ সময়ে ৯০ হাজার টন ডিজেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
পার্বতীপুর ডিপোয় রেল ওয়াগনের মাধ্যমে এ ডিজেল সরবরাহ করা হবে বলে জানান সামসুল আরেফিন।