‘সরকারের বড় বড় কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা কিংবা কোন উকিল-ব্যারিস্টার বসতে চান বসেন? আমাদের ব্যারিস্টারের কথা বাদ দিলাম, আমার সঙ্গে বসেন। কোন ধারায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানো যায় তা আমি দেখিয়ে দেবো।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বুধবার এসব কথা বলেছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে রংপুরের বুড়িরহাটে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা।
সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধান আব্দুল আজিজের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই ভাই হারিছ ও জোসেফকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছেন। আর আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া যায় না! এটা নাকি আইনে নেই।
‘খুনিদের মুক্তি দেয়ার আইন এ দেশে আছে, আর ভালো মানুষের মুক্তি দেয়ার আইন নেই। আইন ঠিকই আছে। কিন্তু আপনারা প্রয়োগ করবেন না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশে একটি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আরেক দফা মুক্তিযুদ্ধ করব। লুটেরা ও চোর দলের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত করব।
‘আমরা পকিস্তানের শাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছিলাম। একইভাবে বাংলাদেশের লোক ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে শুরু করেছে। আপনারা খালেদা জিয়ার মুক্তি আটকে রাখতে পারবেন না।
‘আজ এই সমাবেশ থেকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই না, আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। এই সরকারের পতন ঘটাব। এই সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে আমরা দেশনেত্রীকে মুক্ত করব।’
সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সুচিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার নাকি আইন নেই। আমরা বলতে চাই, যদি আইন না থাকে তাহলে আইন পাস করেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে সোহেল বলেন, ‘আজ থেকে একশ’ বছর পর যে ইতিহাস লেখা হবে, মনে রাখবেন সেই ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া আর বেগম রোকেয়ার নাম পাশাপাশি থাকবে। আর আপনার নাম থাকবে ঘষেটি বেগমের সঙ্গে।’