দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ ঘটছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘নতুন শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীদের ১৫ থেকে ২০ শতাংশই নতুন ধরন ওমিক্রণে আক্রান্ত।’
বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কম্পিউটারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমন তথ্য জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ ঘটছে। এর প্রভাবেই সংক্রমণ বাধাবাহিকভাবে বাড়ছে।
‘যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এটা বলা যায় যে কিছুটা হলেও ওমিক্রনের অবশ্যই সামজিক সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। পরিসংখ্যানে আসছে- দেশে নতুন করে শনাক্তের ১৫ থেকে ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে ওমিক্রন ধরন পাওয়া যাচ্ছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ আরও বাড়বে। এখন পাঁচ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে আসতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আগামী পাঁচ-সাতদিনের মধ্যে অনেক রোগী হয়ে যাবে হাসপাতালে। তখন আবার একটা কষ্টকর অবস্থা তৈরি হবে। চিকিৎসক-নার্সদের ওপর প্রেসার পড়বে। সিট পেতে সমস্যা হবে। মৃত্যুর হারও বেড়ে যাবে। তাই এখন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’
বাংলাদেশে করোনার নতুন এই ধরন কমিউনিটি সংক্রমণ রয়েছে বলে দাবি করেছে আইডিসিআর-ও। এটা দেশের জন্য অশনি সংকেত উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে ব্যাপকভিত্তিক টিকাদান কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নইলে সামনে ভয়াবহ বিপদ।
করোনায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা এলাকাগুলোতে বিশেষ প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়াতে হবে। নতুন করে শনাক্তদের চিকিৎসাও নিশ্চিত করতে হবে।