বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভুলত্রুটি হলে শাস্তি মাথা পেতে নিতে রাজি আছি’

  •    
  • ১২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:১১

সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দীন আহমদ বলেন, ‘তার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই, বরং আমি তার নিরাপত্তা নিয়েই ভাবছি। তাকে পেছন থেকে হয়তো ইন্ধন দিচ্ছে। তবে অন্যায় কাজে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তবুও আমার কোনো অন্যায় হয়ে থাকলে তা প্রমাণ করতে পারলে আমি যেকোনো ধরনের শাস্তি মাথা পেতে নিতে রাজি আছি।’

ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীর কাছ থেকে অর্থ নেয়ার অভিযোগ ওঠা চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দীন আহমদ বলেছেন, ভুল হলে তিনি শাস্তি মাথা পেতে নিতে রাজি আছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি মানুষ, রাজনীতি করতে গিয়ে চলার পথে ভুলত্রুটি হতেই পারে। তবে সম্প্রতি যে অভিযোগ উঠেছে এ ধরনের কোনো অন্যায় কাজ আমি করিনি।’

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বুধবার দুপুরে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রামের দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমরা মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমি কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপষ করিনি। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাইয়ে দিতে আমার নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে যে পোস্ট দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার নাম ব্যবহার করে কেউ পোস্ট করলে তার দায় আমি নেব না।’

একার পক্ষে কাউকে মনোনয়ন পাইয়ে দেয়া সম্ভব না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করতে গিয়ে আমাদের নানা বিভ্রান্তিমূলক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এবার নিয়ম মোতাবেক তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায় আলোচনা করে একটা তালিকা কেন্দ্রে পাঠাতে হয়েছে।

‘চট্টগ্রাম থেকে যারা প্রার্থী হতে চায় তাদের সবার তালিকা নিয়েছি, বক্তব্য নিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন, তাই মেনে নেবেন প্রার্থীরা- এ রকম একটা ভিডিও আছে আমাদের কাছে। তিনজনের কথা থাকলেও আমরা পাঁচ থেকে সাতজনের তালিকাও পাঠিয়েছি।’

মনোনয়নপ্রত্যাশীর কাছে থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমার নাম উল্লেখ করে ফেসবুকে পোস্ট হয়েছে। তবে আমার নাম ব্যবহার করে কেউ অন্যায় করলে এটার জন্য আমি দায়ী নই। আমি পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করার চেষ্টা করেছি। আমি হয়তো সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারিনি, তবে সবার সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করেছি।

‘সব সময় দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় কাজ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য এ ঘটনা আমাকে মর্মাহত করেছে। যে লোক এ কাজ করেছে, তা কেন করেছে আমার জানা নেই। সে লোকই আবার গতকাল ফেসবুকে আমার প্রশংসাও করেছেন। আমার কাছে ক্ষমাও চেয়েছে।

‘তার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই বরং আমি তার নিরাপত্তা নিয়েই ভাবছি। তাকে পেছন থেকে হয়তো ইন্ধন দিচ্ছে। তবে অন্যায় কাজে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তবুও আমার কোনো অন্যায় হয়ে থাকলে তা প্রমাণ করতে পারলে আমি যেকোনো ধরনের শাস্তি মাথা পেতে নিতে রাজি আছি।’

এ সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে আইনজীবী কামাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা। তিনি বলেন, ‘আসলে আমার নেতা মোসলেম ভাইয়ের নাম দিয়ে হোসেন কবির নামের সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের এক নেতা টাকাগুলো নিয়েছে। মোসলেম ভাই নির্দোষ, ওনার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নেই।’

তবে হোসেন কবিরের বিষয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘কামালের সঙ্গে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুসেইন কবিরের কখনও যোগাযোগ ছিল না। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অনেক বানোয়াট কিছু তৈরি করা যায়।’

এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার সঙ্গে হুসেইন কবিরের যোগাযোগ আছে। সংবাদ সম্মেলনের ওই দাবি মিথ্যা।’

মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ওই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ তুলে ৬ জানুয়ারি ফেসবুকে পোস্ট করেন চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন। পোস্টের সঙ্গে এমপি মোসলেম উদ্দিন আহমেদের নামের একটি চেকের ছবিও সংযুক্ত করেন।

ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন—‘আসন্ন ১৭ নম্বর সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার কথা বলে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুসেইন কবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা জনাব মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপির নাম দিয়ে আমার কাছ থেকে ১৫,০০,০০০ (পনের লাখ) টাকার চেক নিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাকে মনোনয়ন দেয়া তো দূরে থাক, কেন্দ্রে আমার নামটি পর্যন্ত পাঠায়নি।

‘এখন আমি আমার চেক ও টাকা ফেরত চাই। অন্যথায় বিষয়টি নিয়ে আমি তৃণমূলের আশা-ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল জননেত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হব এবং ফৌজদারি মামলা করতে বাধ্য হব।’

এ বিভাগের আরো খবর