বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিধিনিষেধ ভাঙলে জেল-জরিমানা

  •    
  • ১২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:০৪

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রনের প্রভাবে বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাংলাদেশেও এই হার বেড়েছে। যত সংক্রমণ বাড়বে, হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়বে। এটি নিয়ন্ত্রণে সরকার ১১ দফার বিধিনিষেধ দিয়েছে। যে বিধিনিষেধ না মানলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল- জরিমানা করা হবে।’

করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ প্রতিরোধে সরকার যে ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়েছে, তা না মানলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হবে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রাজধানীর মহাখালী বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কম্পিউটারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ওমিক্রনের প্রভাবে বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাংলাদেশেও এই হার বেড়েছে। যত সংক্রমণ বাড়বে, হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়বে। এটি নিয়ন্ত্রণে সরকার ১১ দফার বিধিনিষেধ দিয়েছে। বিধিনিষেধ না মানলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হবে।’

দেশে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। বুধবার শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে ৯ শতাংশ। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহস্পতিবার থেকে আরোপ করা হচ্ছে নানা বিধিনিষেধ।

করোনার সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে, মাস্ক পরিধান করতে হবে। তা না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

১১ দফা নির্দেশনায় সভা-সমাবেশ সীমিতের কথা বলা হলেও বাণিজ্য মেলা বন্ধ করা হচ্ছে না কেন, এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুধু বাণিজ্য মেলার বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারি। বাস্তবায়নের বিষয় তাদের।’

বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ সীমিত করা হবে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দোকানে যাবেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে যাবেন, চাকরিতে যাবেন, সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক না পরলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হবে।

‘কাল থেকে দোকানপাট রাত ৮টার মধ্যেই বন্ধ করতে হবে। লঞ্চ-ট্রেন গণপরিবহনে কাজ করলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, মাস্ক পরবেন। সব ধরনের পর্যটন কেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। কোনো এলাকায় সভা-সমাবেশের নামে জট পাকানো যাবে না। কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য যাদের ঘরের বাইরে যেতে হবে, তাদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।’

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘গতকাল করোনা হার ৯ শতাংশ থাকলেও তা বেড়ে ১১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সংক্রমণের হার গত কয়েক দিন এক শতাংশ হারে বাড়লেও আজ এবং গতকাল দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে কী পরিস্থিতি হবে তা আপনারা বুঝতে পারছেন।

‘করোনা সংক্রমণ হার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। কয়েক দিন আগে ২০০ থেকে ৩০০ দৈনিক শনাক্ত হলেও এখন ৩ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে হাসপাতালে রোগীর জায়গা দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে রোগী আসা শুরু হয়ে গেছে। ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকলে হাসপাতালে প্রেসার পড়বে। চিকিৎসকদের ওপরে প্রেসার পড়বে। মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে।’

স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় সরকার অনেক উন্নতি লাভ করেছে। কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা বিশ্বের মধ্যে ২৬তম স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। করোনা সংক্রমণ যত বেশি বাড়বে, হাসপাতালগুলোর ওপরও তত চাপ বাড়বে। এখন মৃত্যুহার কম, কারণ অনেকে টিকা নিয়েছেন।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খোরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ আরও অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর