বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ডাকা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সমাবেশে ভেঙে পড়েছে মঞ্চ। এর জেরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার সিডিএ আবাসিক মাঠে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিউজবাংলাকে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, ‘কর্ণফুলী সিডিএ আবাসিক মাঠে সকাল থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা আসতে থাকে। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে তাদের মঞ্চ ভেঙে পড়ে। এরপর তারা নিজেরাই মারামারিতে জড়ায়। তবে কেউ হতাহত হয়নি। কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।’
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি নেতা বজলুল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের শেষ দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় বেশ কিছু নেতা-কর্মী সমাবেশ মঞ্চে উঠে পড়ে।
‘নেতা-কর্মীদের চাপে হঠাৎ মঞ্চটি ভেঙে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষে জড়ায় নেতা-কর্মীরা।’
এর আগেও চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে মঞ্চ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর নগরীর কালামিয়া বাজার এলাকার কেবি কনভেনশন হলে সমাবেশ শুরুর পরপরই ভেঙে পড়ে মঞ্চ। তবে মঞ্চ থেকে নেতা-কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে নেমে যাওয়ায় কেউ আহত হননি।
এ দিকে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু বলেন, ‘ঘুঘু দেখছ ফাঁদ দেখনি, এবার সারা বাংলাদেশে ফাঁদ দেখানো হবে। ১৪৪ ধারা দিয়ে কাজ হবে না। এটার দিন শেষ হয়ে গেছে। আগামী দিনে বিএনপির বাঁধভাঙা জোয়ার ঠেকানোর শক্তি নাই।’
ওমিক্রন দেখিয়ে সরকার সভা-সমাবেশ বন্ধ করতে চায় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘রোগ তো ওমিক্রন নয়, সরকার পতনের দিন ঘনিয়ে এসেছে। ওমিক্রনের নাম দিয়ে কয়েক মাস দমিয়ে রাখা যাবে। পতন কিন্তু হতেই হবে।
‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই না। অবৈধ, দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন ঘটিয়েই দেশনেত্রীকে মুক্ত করা হবে।’