বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি কোম্পানির উল্টো দৌড়ে কমল সূচক

  •    
  • ১২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:২৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৭টি, প্রকৌশল খাতের ৪টি, খাদ্য এবং বিবিধ খাতে দুটি করে, ব্রাংক, আর্থিক ও টেলিকমিউনিকেশন খাতের একটি করে কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এর প্রতিটিই দর হারিয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি দর হারিয়ে দিনের সর্বনিম্ন দর হারানোর প্রান্তসীমা ছুঁয়েছে।

দুই দিন অস্বাভাবিক উত্থানের পর সরকারি খাতের কোম্পানিগুলোর দাপট থামল। আগের দিন সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকায় যেখানে এই কোম্পানিগুলোর প্রাধান্য ছিল, সেখানে পরের দিন দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দেখা গেছে কোম্পানিগুলোকে।

সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার বহুজাতিক বড় মূলধনি কোম্পানি রবির শেয়ারদরে উত্থানে সূচকে ৪৩ পয়েন্ট যোগ হলেও সার্বিকভাবে সূচক কমল ৫৩ পয়েন্ট, যেখানে আগের দিন বেড়েছিল ৫৪ পয়েন্ট।

সূচক কমিয়েছে যেসব কোম্পানির, তার শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৬টিই সরকারি খাতের, যেগুলোর দর গত কয়েক দিন ধরেই টানা বাড়ছিল।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৭টি, প্রকৌশল খাতের ৪টি, খাদ্য এবং বিবিধ খাতে দুটি করে, ব্রাংক, আর্থিক ও টেলিকমিউনিকেশন খাতের একটি করে কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এর প্রতিটিই দর হারিয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি দর হারিয়ে দিনের সর্বনিম্ন দর হারানোর প্রান্তসীমা ছুঁয়েছে।

দুই দিনে ১১৫ পয়েন্ট সূচক বেড়ে ৭ ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো ৭ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে গেলেও সেটি আবার এই ধাপের নিচে নেমে গেছে। কমেছে লেনদেনও। আগের দিন দুই হাজার কোটি টাকার বেশি হাতবদল হলেও আজ দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে কোনো রকমে।

টানা প্রায় চার মাসের সংশোধনের পর চলতি বছরের শুরুতেই উত্থানের ইঙ্গিত দিয়ে আসছে। এই সময়ে নয় দিনের লেনদেনে দুইদিন কমেছে সূচক। বাকি সাতদিনই বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনার আগ্রহে বেড়েছে সূচক।

Caption

দিন শেষে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র ৮৮টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। মঙ্গলবার বেড়েছিল ১৮৯টি কোম্পানির। বিপরীতে দর কমেছে ২৪৩টি কোম্পানির।

লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৭৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

যেসব কোম্পানির কারণে এই পতন

সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড। কোম্পানিটির ৬.৩৭ শতাংশ দর পতনের সূচক কমেছে ৯.৬ পয়েন্ট।

এই তালিকায় শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে সরকারি কোম্পানি ছিল আরও ৫টিল এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবির শেয়ার দর ২.৮৩ শতাংশ কমায় সূচক ৮.৫৯ পয়েন্ট, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির দর ৬.০২ শতাংশ কমায় সূচক ৬.৫৮ পয়েন্ট, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দর ৯.৯৮ শতাংশ কমায় সূচক ৫.৪১ পয়েন্ট, তিতাস গ্যাসের দর ৩.৬৩ শতাংশ কমায় সূচক ৪.৯৭ পয়েন্ট এবং ডেসকোর দর ৭.৬৯ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৩.৯৯ পয়েন্ট।

সূচক যত কমেছে তার ৬০ শতাংশের বেশি কমিয়েছে সরকারি খাতের ৬টি কোম্পানি

অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট ৯.০৭ পয়েন্ট, বেক্মিমকো ৭.০৯, ইউনাইটেড পাওয়ার ৬.১৫ পয়েন্ট এবং বেক্মিমকো ফার্মা ৪.৩৬ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।

অর্থাৎ এই ১০টি কোম্পানির কারণেই সূচক কমেছে ৬৫.৭১ পয়েন্ট, যার মধ্যে সরকারি ৬ কোম্পানি কমিয়েছে ৩৫.০৫ পয়েন্ট।

বিপরীতে কেবল রবি সূচকে যোগ করেছে ৪৩.৮৪ পয়েন্ট। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৭.৮৫ শতাংশ। গ্রামীণ ফোনের দর ১.০৫ শতাংশ বাড়ার কারণেও সূচকে যোগ হয়েছে ১৩.৯৪ পয়েন্ট।

আর এ কে সিরামিকস, বিকন ফার্মা, এসআইবিএল, ফরচুর সুজ, ইবিএল, লিনডে বিডি, আল আরাফাহ ব্যাংক, ও লাভেলো আইসক্রিমও পয়েন্ট যোগ করেছে সূচকে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ৮০.০২ পয়েন্ট।

রবির শেয়ারদর না বাড়লে সূচকের আরও বড় পতন হতো

দর বৃদ্ধিতে সেরা ১০

সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে লাভেলো আইসক্রিমের দর ৯.৯৫ শতাংশ। কোম্পানিটির দর ৪৫ টাকা ২০ পয়সা দর থেকে পৌঁছেছে ৪৯ টাকা ৭০ পয়সায়।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা তাল্লু স্পিনিংয়ের দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ। ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ১১ লাখ ৬ হাজার ৮১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

দর বৃদ্ধিতে তৃতীয় স্থানে ছিল আর এ কে সিরামিক, যার দর বেড়েছে ৯.৮২ শতাংশ।

আট শতাংশের বেশি দর বেড়েছে এএমসিএল (প্রাণ) এর। শেয়ার দর ৩০৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৮.৭২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৩৬ টাকা ৩০ পয়সা।

এছাড়া রবির দর ৭.৮৫ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৭.৭২ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের দর ৭.৬৩ শতাংশ, মুন্নু অ্যাগ্রোর দর৭.৪৯ শতাংশ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দর ৬.৫০ শতাংশ বেড়েছে।

আরও ২টি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, ২টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৬টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ১২টির দর ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

মোট আটটি খাতে লেনদেন হয়েছে শত কোটি টাকার বেশি

দর পতনের ১০ কোম্পানি

এই খাতের শীর্ষ অবস্থানে দেখা গেছে সরকারি কোম্পানি। এর মধ্যে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, যার দর কমেছে ৯.৯৮ শতাংশ।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডেসকোর শেয়ার দর কমেছে ৭.৬৯ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল টিউবের দর কমেছে ৬.৫৭ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে থাকা পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার দর কমেছে ৬.৩৬ শতাংশ।

দর পতনের শীর্ষে দশে আরও ছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, এলটাস বাংলাদেশ, পেনিনসুলা, ইনফরমেশন সার্ভিসেস, ডেফোডেল কম্পিউটার ও কেডিএস এক্সেসরিজ ছিল দরপতনের শীর্ষ তালিকায়।

লেনদেনে সেরা দশ

লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল ফরচুন সুজ। ১০১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা লেনদেনে হাতবদল হয়েছে ৮২ লাখ ৬২ হাজার ৪৮১টি শেয়ার।

বেশিরভাগ খাতেই বেশিরভাগ কোম্পানিই দর হারিয়েছে

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ১৯ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৫ লাখ ২৫ হাজার ৭১৯টি শেয়ার।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। পাওয়ার গ্রিডের ৭৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, আরএকে সিরামিকের ৬৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

এছাড়া তিতাস গ্যাসে লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৯৪৩টি শেয়ার।

রবির শেয়ার ৫৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা, ফারইস্ট লাইফের ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া লেনদেনে এগিয়ে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, বসুন্ধরা পেপার মিলস ও লাফার্জ হোলসিম।

এ বিভাগের আরো খবর