বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বেড়াতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রী ও তার স্বামীকে মারধরের ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান বুধবার সকালে নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, চরকাউয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার সাইদুল আলম লিটনের অনুসারী জাহিদ হোসেন জয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের প্রায়ই উত্ত্যক্ত করেন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তার স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে গেলে জয়ের নেতৃত্বে কয়েক যুবক তাদের লাঞ্ছিত ও মারধর করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেম্বার লিটন ও জয়ের বাড়ি এবং স্থানীয় একটি ক্লাবে হামলা চালায়। পরে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে।
পরে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
লিটনের বাবা আলতাফ হোসেন হাওলাদার নিউজবাংলার কাছে দাবি করেন, হামলার সময় বাড়িতে ঢুকে শিক্ষার্থীরা তাকেসহ তার স্ত্রীকে মারধর করেছে।
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর স্বামী সোহাগ হাসান বুধবার রাতে বন্দর থানায় মামলা করেছেন। মামলায় মেম্বার লিটন, তার অনুসারী জয় এবং মাকুন মোল্লাসহ অজ্ঞাতপরিচয় দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।’
‘ক্যাম্পাসে আজ কোনো বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।’
নিউজবাংলাকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমসহ ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’