রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় তৈরি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ভোগান্তিতে পড়েছেন নদী পার হতে আসা যাত্রী ও চালকরা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, হঠাৎ করে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চারটি ফেরি কম চলায় এই সংকট।
ঘাট এলাকায় বুধবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায়।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী ও পচনশীল পণ্যবাহী পরিবহন পার করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কল্যাণপুর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সিরিয়াল রয়েছে।
ফেরিতে ওঠার সিরিয়াল পেতে তাদের এক থেকে দুই দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান এসব পরিবহনের চালকরা।
কুষ্টিয়া থেকে ট্রাকবোঝাই করে পণ্য নিয়ে এসেছেন চালক হামিদ মিয়া।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার গোয়ালন্দ মোড়ে এসে আটকা পড়েছি। এই শীতের মধ্যে সারা রাত রাস্তায় কাটাইতে হইছে। প্রচণ্ড শীত ও রাতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে ভোগান্তির শেষ নাই।’
আরেক ট্রাকচালক গফুর মণ্ডল বলেন, ‘আমিও এক দিন হলো এসে বসে আছি। এই ফাঁকা রাস্তায় কীভাবে থাকা যায় বলেন? তার ওপর চুরি, ডাকাতির ভয়ও আছে।’
এই পথে সেতুর দাবি জানান ফরিদপুর থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী বিপ্লব শেখ। তিনি বলেন, ‘তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফেরি পারের অপেক্ষায় বসে আছি। ফেরি তো বন্ধ হয়নি, তারপরও এত যানজট। এই ঘাটে একটা সেতু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কষ্ট কমবে না।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘এখন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৫টি ফেরি চলছে। ৪টির মেরামত চলছে। হঠাৎ করে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ঘাট এলাকায় এই অবস্থা হয়েছে।
‘আজকে একটি ফেরি মেরামত হয়ে আবার নদীতে নামবে। তখন হয়তো যানজট কিছুটা কমবে।’