রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণের’ পর হত্যার মামলায় ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক সাজেদুল হক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালাতের সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার (নারী ও শিশু) কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রাফাত আরা সুলতানা জানান, মামলাটির অভিযোগপত্র জমার পর ঢাকা নারী ও শিশু আদালতে বদলির জন্য পাঠানো হয়েছে।
আসামিরা হলেন মর্তুজা রায়হান চৌধুরী, নুহাত আলম তাফসীর, ফারজানা জামান নেহা, শাফায়েত জামিল, রিয়াজ উদ্দিন ও নুরুল আমিন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে একটি উবার ভাড়া করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক নেহা ও তার একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদ পান করান।
মদ্যপানের একপর্যায়ে তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তাকে ‘ধর্ষণ’ করেন। ‘ধর্ষণের’ পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ওই তরুণী মারা যান।
এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি চারজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বাবা।