বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নড়াইলে এত দিনেও গড়ে ওঠেনি শিল্পনগরী

  •    
  • ১২ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:২৮

বিসিক নড়াইল কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘এরই মধ্যে ২০০ একর জমির ওপর শিল্পনগরী স্থাপনে ডিপিপি প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত কাজ এগোবে।’

অনুকূল পরিবেশ ও উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও নড়াইলে গড়ে ওঠেনি বিসিক শিল্পনগরী। তাই এখানে হয়নি ছোট-বড় কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানও।

এতে জেলায় সীমিত ব্যবসায়ের পরিসর বাড়েনি। বিসিক চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে ধরনা ধরলে আশ্বাস মিলেছে, তবে তা এখনও বাস্তব হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ না পাওয়া ও জায়গা নির্ধারণে জটিলতা থাকায় শিল্পনগরী স্থাপনের কার্যক্রম ফাইলবন্দিই রয়েছে।

১৯৯০ সালে জেলার রঘুনাথপুরে শিল্পনগরী স্থাপনে ভূমি মন্ত্রণালয় জমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেও জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের টাকা শিল্প মন্ত্রণালয় ছাড় না দেয়ায় জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং নড়াইলের ব্যবসায়ী মহল শিল্পনগরী স্থাপনে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। সর্বশেষ ২০২১ সালে শহরতলি ধোপাখোলায় প্রায় ২০০ একর জায়গা নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বর বিসিক চেয়ারম্যান নড়াইলে এসে শিল্পনগরী স্থাপনের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।

দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে নড়াইল, মাগুরা ও বান্দরবান জেলা বাদে ৬১টি জেলায় বিসিক শিল্পনগরী গড়ে উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৩৪ বছরে ৪ বার জায়গা নির্ধারণ কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ রয়েছে নড়াইল বিসিক শিল্পনগরীর নির্মাণ।

১৯৮৪ সালে নড়াইল জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৮৮ সালে বিসিক শিল্পনগরী স্থাপনের জন্য শহরের রঘুনাথপুর মৌজায় ১৫ একর জমি নির্বাচন করা হয়।

১৯৯০ সালের ১১ জুন ভূমি মন্ত্রণালয় জমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় এবং জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলেও পরে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে টাকা ছাড় না পাওয়ায় জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

এর ৮ বছর পর ১৯৯৮ সালে নতুন করে শহরতলি বোড়াবাদুরিয়া-সীমাখালি মৌজার ১৫ একর জমি নির্বাচন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিলেও জেলার ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এটিকে সন্ত্রাসী এলাকা এবং অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা বলে এর বিরোধিতা করলে শিল্পনগরী স্থাপনের কার্যক্রম থেমে যায়।

পরে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর শহর থেকে ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে বাশভিটায় শিল্পনগরীর জন্য ১৫ একর জমি ক্রয়ের সুপারিশ ঢাকায় পাঠানো হলেও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে স্থানীদের এক অংশ এটিতে বাধা দেয়।

সর্বশেষ ২০২১ সালে শহরের ধোপাখোলা এলাকায় উজিরপুর মৌজায় শিল্পনগরী গড়ে তোলার আশ্বাস দিয়ে জেলা প্রশাসককে ২০০ একর জমি অধিগ্রহণের নির্দেশনার পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়।

নড়াইল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. হাসানুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জেলায় বিসিক শিল্পনগরী গড়ে উঠলে দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা এখানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়তে আগ্রহী হবেন।

‘এতে নড়াইলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তাই শুধু জায়গা নির্ধারণ নয়, শিল্পনগরী গড়ে তোলার জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে দ্রুত।’

বিসিক নড়াইল কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বিসিক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান নড়াইলে গত ২৫ ডিসেম্বর সফরে এসে শিল্পনগরী স্থাপনে আশ্বাস দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে ২০০ একর জমির ওপর শিল্পনগরী স্থাপনে ডিপিপি প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত কাজ এগোবে।’

এ বিভাগের আরো খবর