চট্টগ্রামে হত্যা মামলার সাক্ষীর মাকে হত্যার ঘটনায় আসামি ইরানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ওই মামলার আসামি আরমান ও ইমতিয়াজ আগেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
মিরসরাইয়ের ইছাখালী বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন থেকে সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নগরীর চান্দগাঁয় মঙ্গলবার বিকেলে র্যাব-৭ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব-৭ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইউছুপ বলেন, ‘২০০৯ সালের ১১ এপ্রিল নগরীর ইপিজেড থানার মাইলের মাথা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে খুন হন এরশাদ নামের এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় করা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে জেল খাটেন ইরান, আরমান ও ইমতিয়াজ নামের তিন ভাই। তারা জেল থেকে বের হয়ে সাক্ষী কবির আহমেদ ও তার ছেলে ওমর ফারুককে সাক্ষ্য না দেয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকেন।’
‘আসামি তিনভাই ১ জানুয়ারি সাক্ষীদের বাড়িতে গিয়ে শাবল ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে ওমর ফারুক ও তার মা লায়লা বেগমকে গুরুতর জখম করেন। ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিক্যালে লায়লা বেগম মারা যান।এই ঘটনায় ৭ জানুয়ারি ইপিজেড থানায় হত্যা মামলা করা হয়। এরপর র্যাব তদন্ত শুরু করে।’
তিনি আরও জানান, ৯ জানুয়ারি মামলার দুই আসামি আরমান ও ইমতিয়াজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও ইরান পলাতক ছিলেন। গোপন তথ্যে সোমবার রাতে মিরসরাইয়ের ইছাখালী বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় দুটি হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে।
ইপিজেড থানায় ইরানকে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা ইউছুপ।