চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ১৫ তলা অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই ভবনে হোটেল, শপিংমল, অফিস, সিনেপ্লেক্স ছাড়াও থাকবে কনভেনশন সেন্টার, পারিবারিক বিনোদনকেন্দ্র ও অ্যাপার্টমেন্টও।
মঙ্গলবার রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও বেসরকারি অংশীদার এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের মধ্যে ভবনটি নির্মাণে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আহসান জাবির জানান, চুক্তিতে রেলওয়ের পক্ষে তিনি নিজে এবং এপিক প্রপার্টিজের পক্ষে এর পরিচালক আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষর করেছেন।
ভবনটি নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। নির্মাণকালসহ ৪০ বছর পর স্থাপনাটি রেলওয়ের শতভাগ মালিকানায় পরিচালিত হবে।
আহসান জাবির বলেন, ‘উন্নত দেশের স্টেশনগুলোর পাশে শপিংমল করা হয়। আমাদেরও অনেক জমি আছে স্টেশনের পাশে। শপিংমল করে সেখান থেকে অর্জিত আয় দিয়ে আমরা একসময় রেলকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও লাভজনক করতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রেলখাতের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছেন। রেলওয়ের উন্নয়নে বহুমুখী কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। মিটার ও ব্রডগেজ লাইনকে একমুখী ব্যবস্থা করে সারাদেশকে ব্রডগেজে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তর করা হবে।’
তিনি জানান, গুরুত্বপূর্ণ পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, যমুনা নদীর ওপর দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু রেলসেতু, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন পর্যায়ক্রমে ডুয়েল গেজে রূপান্তর করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী সুলতানা আফরোজ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার। সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর।