রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনায় সশস্ত্রবাহিনীকে প্রধান সহযোগী শক্তি করাসহ তিন প্রস্তাব করেছে এক সময় বিএনপির ২০ দলীয় জোটের সঙ্গী বাংলাদেশ ন্যাপ।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে এ কথা জানান দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় ন্যাপ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান গানি, সহ-সভাপতি স্বপন সাহা, মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব আতিকুর রহমান, মু. মহসীন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভূঁইয়া ও মিতা রহমান।
সংলাপ শেষে বেরিয়ে দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে একটি আধুনিক ইলেট্রোরাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএমএস) অর্থাৎ একটি আধুনিক নির্বাচন ব্যবস্থা বা পদ্ধতি গ্রহণ করার কথা বলেছি।’
সশস্ত্রবাহিনীকে দেশের নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান সহযোগী শক্তি হিসবে অর্ন্তভুক্ত করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এখন সময় এসেছে সশস্ত্রবাহিনীকে দেশের নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান সহযোগী করা।’
হিউম্যান বা পিপল কাউন্টিং মেশিন, সিসিটিভি বা আইপি ক্যামেরা দ্বারা ক্লাউড নির্ভর রিমোট মনিটরিং, রেকর্ডিং ও লাইভ স্ট্রিমিং প্রযুক্তি অর্ন্তভুক্ত করার বিষয় উল্লেখ করেন জেবেল রহমান গানি।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে তদারকি ও নিরাপত্তার জন্য নানাবিধ প্রযুক্তি সহজলভ্য। আমরা মনে করি প্রতিটি নির্বাচনি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহণের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
‘নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বার বার এই কমিশন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়া রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়। তাই একটি আইন প্রণয়ন করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে মনে আমরা মনে করি।’
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি। গত ২০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হয়েছে। এবারের সংলাপের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বিএনপির মতো বড় দলের সংলাপে অংশ না নেয়ার ঘোষণা।
বিএনপি সংলাপে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিলেও তাদের এক সময়েও জোটসঙ্গী বাংলাদেশ ন্যাপ সংলাপে অংশ নিলো। গত জাতীয় নির্বাচনের পরই মনমালিন্য হওয়ায় ২০ দলীয় জোট ছেড়ে যায় জেবেল রহমান গানির বাংলাদেশ ন্যাপ।