চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে জোর করে তুলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামি শিমুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে এক অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে শিমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শহীদ হোসেন ওই অভিযান পরিচালনা করেন।
শহীদ বলেন, ‘প্রথমে মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও অভিযুক্ত প্রধান আসামি পলাতক ছিলেন। আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেয়া হয়।’
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, ‘ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত বাকি তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বিজ্ঞ আদালতে অপরাধ স্বীকার করেছেন। আজ আমরা মূল আসামিকেও গ্রেপ্তার করেছি। আগামীকাল তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা মামলায় উল্লেখ করেছিলেন, সেদিন ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের একটি স্কুল থেকে ছুটির পর বাড়ি ফিরছিলেন দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। এ সময় অভিযুক্ত শিমুল তার পথ আটকে দাঁড়ান এবং তাকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী লিপি বেগমের বাড়িতে নিয়ে হাত বেঁধে ও মুখে কাপড় ঢুকিয়ে ধর্ষণ করেন।
এ কাজে শিমুলকে সহযোগিতা ছাড়াও ধর্ষণের ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও করেন ইজাজ ও সাব্বির।
এ ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয় গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামের লিপি বেগমের বিরুদ্ধেও।
ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় ধর্ষণকারীরা। দীর্ঘদিন ধরে তারা ওই স্কুলছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।
পরে বাড়ি ফিরে ওই ছাত্রী তার মাকে ঘটনাটি জানালে সেদিনই সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়।
পরদিন সকালে ফরিদগঞ্জে লিপি বেগম, কুমিল্লা থেকে ইজাজ ও সাব্বির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।