বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আয় বৈষম্য কমাতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

  •    
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:২৩

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আয় বৈষম্য কমিয়ে সরকারি-বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’

আয় বৈষম্য কমিয়ে সরকারি-বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

মঙ্গলবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আয় বৈষম্য কমিয়ে সরকারি-বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আমদানি বেড়ে যাওয়া বড় সমস্যা। আবার টাকার অবমূল্যায়ন করা হলে মূল্যস্ফীতি বাড়ে।’

এ জন্য এক রকম ক্ষতিপূরণ দিয়ে টাকার অবমূল্যায়নের কথা বলেন তিনি। সেটা হলো, শুল্ক হার সমন্বয়। এই মূহুর্তে টাকার পাঁচ শতাংশ অবমূল্যায়ন করার প্রস্তাব দেন মন্ত্রী।

বৈষম্য প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, ‘নিচের সারির মানুষের দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত। সমাজের উঁচু তলার মানুষেরা আরও ওপরে যাবে, কিন্তু নিচু তলার মানুষের সীমা আছে। তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা উচিত।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যেমন বটমলেস বাস্কেটকেস বা তলাবিহীন ঝুড়ির তত্ত্ব ঝেড়ে ফেলতে পেরেছে, তেমনি প্যারাডক্স, বিস্ময়- এই জাতীয় অভিধাও পরিত্যাগ করতে পারবে। সেখানেই দেশের জনগণের বিজয়।’

পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সরকার দেশে বড় বড় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ পড়ছে। চলতি হিসাবের অবস্থা ভালো নয়। এই পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি টাকার যে অবমূল্যায়ন করেছে তা জরুরি ছিল, কিন্তু যথেষ্ট নয়।

‘টাকার মান একধাপে বেশি অবমূল্যায়ন করা হলে বেশি ফল মেলে। অন্যদিকে বাজেটেও চাপ আছে। গত অর্থ বছরে ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত ছিল ৭ শতাংশের মতো। এই পরিস্থিতিতে রাজস্ব ঘাটতি ৩৫ হাজার কোটি টাকা দাঁড়াবে। অথচ সরকারের ভর্তুকি অনেকটাই বেড়েছে। এতে ঋণের টাকা দিয়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালনা করতে হচ্ছে।’

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি দৈত্যকার প্রাণীর মতো মাথা তুলছে। এই বাস্তবতায় একদিকে ভর্তুকি আছে, বিনিময় মূল্য কমানো হচ্ছে, প্রণোদনা আছে, এসব কিছুর চাপে মূল্যস্ফীতি বাড়বে।’

মানুষ ওমিক্রন নিয়ে চিন্তিত নয় বলে মন্তব্য করেন বিকেএমইএ নেতা ফজলুল হক। বলেন, ‘মানুষ আর বিধিনিষেধ মানতে রাজি নয়। কারণ, করোনার টিকা আছে, ওষুধও আছে। তবে শিল্পে ১৫-২০ শতাংশ শ্রমিক সংকট আছে কিন্তু তা মোকাবিলা করা হচ্ছে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা বলেন, ‘অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রণয়ন করা দরকার। এছাড়া কোভিডের প্রভাবে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। সে কারণে বাল্য বিবাহ বেড়ে গেছে।’

এ অবস্থা রোধে যেসব অঞ্চলে বাল্য বিবাহ বেড়েছে, সেই সব অঞ্চল লক্ষ্য করে উপবৃত্তির কর্মসূচির আওতা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান জাঈদি সাত্তার।

এ সময় বক্তারা আরও বলেন, করোনার সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষির অবদান গুরুত্বপূর্ণ। এই খাত কোনোভাবেই যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

তারা বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি আগামী বাজেটে নারীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের প্রয়োজন। রেমিট্যান্সে এখন কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। হুন্ডিবাজার যেন মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান, বিজেএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী নাসের এজাজ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর