তামাক নিয়ন্ত্রণে কর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মঙ্গলবার ‘তামাক কর বৃদ্ধি, বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ শিরোনামে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।
ডিআরইউ, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে কর বৃদ্ধির পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট কর আরোপ জরুরি। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। এ ছাড়া যত্রতত্র খুচরা সিগারেট বিক্রির কারণে প্যাকেটে উল্লিখিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে তামাকজাত পণ্য বিক্রি হয়।তিনি বলেন, এই অতিরিক্ত দামের ওপর সরকারের রাজস্ব আয় হয় না, বরং তামাক কোম্পানির লভ্যাংশ বাড়ে।
মাদকবিরোধী সংগঠন প্রত্যাশার সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে তামাক কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবৈধ হস্তক্ষেপে একাধিকবার দাবি জানানোর পরও তামাকের ওপর আশানুরূপ কর বাড়ানো সম্ভব হয়নি।তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তকে তামাককে অর্থকরী ফসল হিসেবে উপস্থাপন করার কারণে তামাকের পক্ষে ইতিবাচক তথ্য প্রচার হচ্ছে। যা প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা তথা সরকারের সার্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ডাস-এর উপদেষ্টা আমিনুল ইসলাম বকুল বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করছে। এতে তামাকের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির সঠিক তথ্য জনসাধারণের কাছে পৌঁছায় না।
ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের কান্ট্রি ম্যানেজার-বাংলাদেশ নাসির উদ্দীন শেখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মিঠুন বৈদ্য।