দোকানে গিয়ে আইসক্রিম চেয়েছেন ক্রেতা। বিক্রেতাও হাসিমুখে এগিয়ে দিয়েছেন আইসক্রিম। কিন্তু নানা বাহানা আর চালাকিতে ক্রেতাকে ধরতে দিচ্ছেন না সেই আইসক্রিম।
আইসক্রিম নিয়ে এই খেলার উদ্ভাবন তুরস্কে। সেখানকার আইসক্রিম বিক্রেতা ও ক্রেতাদের প্রথম এমন খেলায় দেখা যায়। জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর এটি এখন বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।
ইউটিউব-ফেসবুকে এমন ভিডিও এখন ব্যাপকভাবে আলোচনায়। জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় সেই আইসক্রিম খেলা এখন ঢাকায়। রাজধানীর বনানীতে চালু হয়েছে টার্কুইশ আইসক্রিম পার্লার। সেখানে তুরস্কের ট্র্যাডিশনাল আইসক্রিমের সঙ্গে ক্রেতারা উপভোগ করতে পারছেন খেলাও।
পার্লারে সরবরাহ করা আইসক্রিমের ধরনও স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আইসক্রিমের চেয়ে আলাদা বলে জানালেন টার্কুইশ বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার আশিক কায়সার।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে যে আইসক্রিম দিচ্ছি সেটাতে কোনো পাউডার ও কেমিক্যাল নেই। তুরস্কের তিনজন নাগরিক আমাদের এখানে কাজ করেন। তারাই মূলত আইসক্রিম বানানো এবং বিক্রির কাজটা করেন।
টার্কুইশ বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার আশিক কায়সার। ছবি: নিউজবাংলা‘তাদের মধ্যে শাহিন অজতুর্ক আইসক্রিম বানানো ও বিক্রির মাস্টার। তিনি বেশ পরিচিত এই অঙ্গনে। শাহিন হলিউডের সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন। তার সহযোগী অনুর বায়েজিত ও আলী রিজা।’
আশিক আরো বলেন, ‘আমরা এখানে শুধু আইসক্রিম বিক্রি করি না। একইসঙ্গে আমাদের চাওয়া- ক্রেতার মুখে হাসি ফুটুক। তাই আমরা আইসক্রিম বিক্রির আগে একটু খেলা করি। এই আইসক্রিম শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়।’
আইসক্রিম পার্লারটি চালু হয়েছে ১ জানুয়ারি। বিভিন্ন বয়সের ক্রেতারা এখানে আসছেন এবং আইসক্রিম কেনার ফাঁকে একটু খেলায়ও অংশ নিচ্ছেন। আর সঙ্গে কেউ থাকলে খেলার অংশটি ভিডিও করে নিচ্ছেন মোবাইল সেটে।