জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেসব শিক্ষার্থী করোনারোধী টিকা নেননি তাদের টিকা দিতে ‘বিশেষ সপ্তাহ’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে তিন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষের সঙ্গে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজকের সভায় তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে ‘বিশেষ সপ্তাহ’ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা শুরু হওয়ার কথা ১৬ জানুয়ারি থেকে। এই সপ্তাহ চলার সময়ে প্রতিটি উপজেলা বা থানায় নির্ধারিত বুথ করার কথাও আলোচনা হয়েছে।
এর আগে সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘৩১ জানুয়ারির মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া শেষ হবে।’
‘আমাদের ১২ থেকে ১৮ বছরের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২। প্রথম ডোজ নিয়েছে ৪৪ লাখ, দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ জনকে। টিকা দেয়া হয়েছে ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ জন। প্রথম ডোজ পায়নি এখনও ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৬ জন।
‘আমরা যেভাবে পরিকল্পনা করেছি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে, যদি সব কিছু ঠিকভাবে চলে তাহলে আমরা আশা করছি, ৩৯৭টি উপজেলায় ১৫ জানুয়ারির মধ্যে টিকাদান আমরা শেষ করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘তিনটি উপজেলায় ১৭ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে পারব। ৫৬টি উপজেলায় ২০ তারিখের মধ্যে, ১৫টি উপজেলায় ২২ তারিখের মধ্যে, ৩৫টি উপজেলায় ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এবং সব শেষ ১১টি উপজেলায় ৩১ জানুয়ারির মধ্যে। অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আমরা যে ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী যারা কোনো ডোজই গ্রহণ করেনি, তাদের প্রথম ডোজ আমরা শেষ করতে পারব।’
দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে কোনো নিবন্ধন লাগবে না। পরিচয়পত্র দিয়েই টিকা দিতে পারবে। পরিচয় বলতে স্কুলের পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ড।’
ইংরেজি মাধ্যমের ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার্থীরাও রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখিয়ে টিকা নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।