সব ধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বাড়ানোসহ চার দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধনটির আয়োজন করে সর্বদলীয় চাকরিপ্রত্যাশী ছাত্র ঐক্য পরিষদ নামের চাকরিপ্রত্যাশীদের সংগঠন। এর আগে একই দাবিতে দুপুর ১টা থেকে প্রেস ক্লাবেও তাদের মানববন্ধন হয়।
তাদের অন্য তিনটি দাবি হলো দুর্নীতি ও জালিয়াতি বন্ধ করে নিয়োগ পরীক্ষার (প্রিলি ও রিটেনে) মার্কসহ ফলাফল প্রকাশ, চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করা এবং সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
মানববন্ধন থেকে চাকরিপ্রত্যাশীরা আগামী ১৬ জানুয়ারি এসব দাবিতে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দেন।
গত বছরের ১৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মহামারির কারণে সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য মোট ২১ মাস বয়স ছাড় দেয়ার ব্যাকডেট প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
এই প্রজ্ঞাপনকে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক পদ্ধতি হিসেবে উল্লেখ করে ওমর ফারুক নামের এক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি ছিল পরিস্থিতি অনুযায়ী বাস্তবতার নিরিখে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়াতে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মাঝে করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে প্রায় দুই বছর হারিয়ে গেলেও তিন বছর আগে ছাত্রসমাজকে দেয়া সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। ইশতেহারের বাস্তবায়ন যুব সমাজের প্রাণের দাবি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মানিক মিয়া বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীদের বয়সসীমা বৃদ্ধিতে মানববন্ধন, সমাবেশ করে আসছি। কিন্তু দেশের বেকারদের নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি করে আসছি। আজকের এই কর্মসূচি থেকে সরকারের কাছে সর্বশেষ বাঁচার দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে সংগঠনের মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসেন দেশের সব বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের এই গণ-আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি তাদের এই অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান।