করোনা পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মেলা কত দিন চলবে সে ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে চলমান বাণিজ্য মেলা আপাতত চলতে থাকবে।
মঙ্গলবার নিউজবাংলার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব (সিনিয়র) তপন কান্তি ঘোষ এমন তথ্য দেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ হার নিয়মিত পর্যালোচনা করে অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার আগে মেলায় আসা সব দর্শনার্থী, ক্রেতা-বিক্রেতা এবং আয়োজক-সংশ্লিষ্টদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ মোকাবিলায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে বিধিনিষেধ সংবলিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ-পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।’
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এর পাশাপাশি দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, অন্যথায় আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
ঢাকাসহ সারা দেশে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে সরকারের এই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়।
এ বিষয়ে সিনিয়র বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছি। প্রজ্ঞাপনটিও পর্যালোচনা করেছি। এখন থেকে আমরাও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন পর্যালোচনা করব।
‘যদি দেখি করোনার সার্বিক পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতিই হচ্ছে, তখন তো একটা ব্যবস্থা নিতেই হবে। তার আগ পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে যত দিন সম্ভব মেলা চালিয়ে নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘তবে এটা কিন্তু আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নয়। মন্ত্রণালয়ের অবস্থান মাত্র। এ বিষয়ে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে করোনার সংক্রমণ কোন পর্যায়ে যাচ্ছে, তার গতিবিধির ওপর।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মেলা বন্ধ করার মতো কোনো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। মার্কেট-শপিং মল বন্ধ হয়নি। তাছাড়া নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্য মেলার কার্যক্রম চালাতে কোনো অসুবিধা নেই।
গত ১ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) শুরু হয় মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।