করোনা সংক্রমণ বাড়ায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছে শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণপ্রত্যাশী মহাজোট।
সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান হোসেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘোষণা দেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিরাজমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে বিধিনিষেধ রয়েছে। অবস্থান কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা এসেছেন। সবার কথা বিবেচনা করে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে বাতিল করা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যেকোনো সময় আবার কর্মসূচি শুরু হবে।
এর আগে সোমবার থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সারা দেশের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
শিক্ষক নেতা ইমরান হোসেন বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে একই পাঠ্যক্রম ও আইনে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হলেও বিদ্যমান ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বড় ব্যবধান রয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। অধিকাংশ শিক্ষক নিজ জেলার বাইরে চাকরি করেন, তাদের বদলির ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। এই বৈষম্য দূরকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রয়োজন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণপ্রত্যাশী মহাজোটের আহ্বায়ক মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে মুজিব শতবর্ষই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের মাহেন্দ্রক্ষণ। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ হলে সবচেয়ে লাভবান হবে গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি তালুকদার আব্দুল মান্নাফ, মহাসচিব মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স, নির্বাহী মহাসচিব অরুপ সাহা, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক অনলাইন পরিষদের সভাপতি আবু তালেব সোহাগ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক বেনী মাধব দেবনাথ, সদস্য সচিব দিদার হোসেন।