বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যাংকের সিএসআর ব্যয় স্বাস্থ্যে বাড়ানোর নির্দেশ

  •    
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:১২

সিএসআরের অর্থ সঠিক খাতে ব্যয় না হলে দায়বদ্ধ থাকবে সংশ্নিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এ জন্য অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা করতে হবে। একই সঙ্গে যথাযথ খাতে ব্যয় হয়েছে কিনা তা পরিদর্শন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো সন্দেহজনক কাজে ব্যয়ের তথ্য পেলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করতে হবে।

এখন থেকে একটি ব্যাংক করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে যে পরিমাণ খরচ করবে, তার অন্তত ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে খরচ করতে হবে। এতদিন যা ছিল ২০ শতাংশ। শিক্ষা খাতে ব্যয়ের হার আগের মতোই ৩০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলা বা দেশের বাইরে বিনোদনমূলক কাজে সিএসআরের টাকায় স্পন্সর করা যাবে না। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক উন্নয়ন খরচ এখান থেকে করা যাবে না। আবার দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজে সামাজিক দায়বদ্ধতার টাকা খরচ করা যাবে না।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক সিএসআর ব্যয়ের নতুন এ নীতিমালা জারি করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার মোরশেদ মিল্লাতের নেতৃত্বে একটি টিম নতুন এ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।

নীতিমালায় যা বলা হয়েছে

সিএসআর ব্যয়ের হার পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এছাড়া সিএসআরের সংজ্ঞা, উদ্দেশ্যসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক, পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে- এ রকম খাতে গুরুত্ব দিতে হবে।

সিএসআর ব্যয়ের লক্ষ্য পূরণের জন্য সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, অবহেলিত প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ, অসহায়, হতদরিদ্র, পথশিশুদের বিষয়ে জোর দিতে হবে বলে নীতিমালায় বলা হয়।

নীতিমালায় সিএসআরের ব্যয়ের ক্ষেত্রে যে খাতে ব্যয় হচ্ছে প্রথমে তার প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন, যাদের মাঝে দেয়া হবে তাদের বাছাই, কোন এলাকায় দেয়া হবে সেটা ঠিক করতে হবে। সেই সঙ্গে কী পরিমাণ বিতরণ করা হবে- তা ঠিক করতে হবে। আর এসব কিছুর তথ্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে রাখতে হবে।

সিএসআরের অর্থ সঠিক খাতে ব্যয় না হলে দায়বদ্ধ থাকবে সংশ্নিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এ জন্য অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা করতে হবে। একই সঙ্গে যথাযথ খাতে ব্যয় হয়েছে কিনা তা পরিদর্শন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো সন্দেহজনক কাজে ব্যয়ের তথ্য পেলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করতে হবে।

কোন খাতে কত ব্যয়

নতুন নীতিমালায় স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের হার বাড়ানো হয়েছে। অবশ্য করোনার কারণে গত দু'বছর স্বাস্থ্য খাতে ৬০ শতাংশ ব্যয়ের নির্দেশনা ছিল। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা খাতে ব্যয়ের হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। শিক্ষা খাতে ব্যয়ের হার আগের মতোই ৩০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া আয়বর্ধক কর্মকাণ্ড, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, খেলা ও বিনোদনে ২০ শতাংশ ব্যয় করতে হবে।

যেসব খাতে ব্যয় করা যাবে না

নীতিমালায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলা বা দেশের বাইরে বিনোদনমূলক কাজে সিএসআরের টাকায় স্পন্সর করা যাবে না।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক উন্নয়ন খরচ এখান থেকে করা যাবে না। আবার দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজে সামাজিক দায়বদ্ধতার টাকা খরচ করা যাবে না।

এ ছাড়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, শিশুশ্রম, সামাজিক মূল্যবোধের জন্য হুমকি তৈরি করে এমন খাতে সিএসআর করা যাবে না। এ ধরনের ব্যয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো সিএসআর খাতে ব্যয় বিষয়ে নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার আরও বিস্তারিত আকারে নীতিমালা করা হলো।

এ বিভাগের আরো খবর