প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় নর্দান ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগী রিয়াজুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলামের আদালত মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
আদালতের খিলক্ষেত থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. সেলিম এ তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. রাসেল মঙ্গলবার জামিন আবেদনের শুনানির তারিখ পেছানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন৷ সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক বুধবার শুনানির তারিখ ঠিক করেছেন।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী নজরুল ইসলাম রানা বলেন, ‘আসামিপক্ষ সময় চেয়ে আবেদন করায় মঙ্গলবার শুনানি হয়নি। তবে বুধবারের শুনানিতে আমরা জামিনের বিরোধিতা করব।’
এর আগে সোমবার খিলক্ষেত থানায় আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়ার মামলায় আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ ও রিয়াজুল আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেপ্তার দুজন ছাড়াও মামলায় সেলিম মুন্সিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ছয়-সাত জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্টের পাঁচ বিঘা জমি পছন্দ করে নর্দান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। ওই জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে চেকের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধ করে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়। বাকি ২০ কোটি টাকা পরে পরিশোধ করার কথা বলা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, পরে আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহর কাছে বাকি ২০ কোটি টাকা চাইলে তিনি জানান, সব টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। পরে বাদী জানতে পারেন, ওই জমি ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় কেনা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে দলিলে।