বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
মা-বাবার করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন মির্জা ফখরুলের ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ।
তারা দুজনেই বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
এ ছাড়া মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম- দুজনের করোনা টেস্টের ফলাফল পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্য্যান অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনও।
তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন যাবৎ মহাসচিবসহ ভাবি অসুস্থতা বোধ করছিলেন। গত পরশু ভাবির এবং গতকাল রাতে মহাসচিবের করোনা টেস্টের ফলাফল পজেটিভ এসেছে।
‘এখন উত্তরার বাসায় তারা কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।'
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউ ও করোনা বিশেষজ্ঞ ডা. রায়হান রাব্বানীর তত্ত্বাবধানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
‘ওনারা দুজনই এখন সুস্থ আছেন। তাদের গলায় কিছুটা খুসখুসে কাশি আছে। অন্য কোনো উপসর্গ এখনো দেখা যায়নি। দেশবাসীর কাছে তারা দোয়া চেয়েছেন।’
সর্বশেষ গত ৮ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর এক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
গত বছরের ১০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। গুলশানের বাসায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রেখে চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা দেন।
গত বছর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান কামাল ইবনে ইউসুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এবং দলের স্থায়ী কমিটি থেকে অবসর নেয়া সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মাহবুবুর রহমান সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা চিকিৎসার মাধ্যমে সেরে উঠলেও করোনায় মারা যান দলের ভাইস চেয়ারম্য্যান কামাল ইবনে ইউসুফ, কেন্দ্রীয় নেতা খুররম খান চৌধুরী, খন্দকার আহাদ আহমেদ,
আবদুল আউয়াল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানসহ বেশকিছু নেতা।