সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পুলিশ আটক করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
কুড়িগ্রাম শহরের ধরলা নদীর দক্ষিণ পাশে এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে অহেতুক মামলা হচ্ছে না। মাঠ ঘোলা করতে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেছেন, বাড়িঘরে তল্লাশির নামে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলন করে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার মঙ্গলবার একই ধরনের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘তার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এটা নির্বাচনের বড় বাধা।’
তৈমূর বলেন, ‘প্রশাসনের এ ধরনের আচরণে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যে শঙ্কা তা আরও শক্তিশালী হচ্ছে। এভাবে চললে বড় ক্ষতি হবে।’
সোমবার সন্ধ্যায় তৈমূর আলমের নির্বাচনি সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক।এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যে নাশকতা হয়েছিল, সে মামলার আসামি রবি।
মেয়র পদপ্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপির উপদেষ্টা কাউন্সিল থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তার পক্ষে নির্বাচনি কাজ করছেন।
তৈমূর বলেন, ‘নানা বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে বারবার অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন বোবা ও অন্ধ হয়ে গেছে। প্রতি রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ঘেরাও করছেন। প্রশ্ন করলে পুলিশ বলছে, তারা কিছুই জানে না।’
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নগরীর খানপুর এলাকায় গণসংযোগের সময় আইভী বলেন, ‘আমি দেখছি উনি প্রচার চালাচ্ছেন। তাহলে বারবার কেন অভিযোগ করছেন তা আমি জানি না। এটা হতে পারে ওনার কোনো নতুন চাল বা কৌশল। আমি প্রভাব বিস্তার করি না। এভাবে প্রভাব বিস্তারের কোনো প্রশ্নই আসে না।
‘কারণ আমি নারায়ণগঞ্জের কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। সুতরাং আমি আমার মতো করে প্রচার করছি, উনি ওনার মতো করে।’
নারায়ণগঞ্জের টানা তিনবারের মেয়র আইভী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মানুষ জানে আমার প্রভাব বিস্তার করার মতো লোকবল নাই। প্রশাসন কখনও আমাকে সহযোগিতা করে নাই। হঠাৎ করে প্রশাসন আমাকে সহযোগিতা করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। প্রতিটা নির্বাচনের একটা রূপ থাকে। হয়তো তারা সেটা করছে না কিন্তু আমি জানি না।’
কুড়িগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লা আল মামুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরাসহ আরও অনেকে।