কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় (আরআরআরসি)।
নিউজবাংলাকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ মোহাম্মদ রেজওয়ান হায়াত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়নকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা এলাকার ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
সেখানে দায়িত্বরত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রায় ১২০০ ঘর পুড়ে যাওয়ার তথ্য জানালেও পরে বলা হয়, আগুনে পুড়েছে ৪৬৯টি বসতঘর।
কমিটির প্রধান সামছু-দ্দৌজা নয়ন নিউজবাংলাকে জানান, পুড়ে যাওয়া এ সব ঘরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ৪৫৯টি ও স্থানীয়দের ১০টি বসতঘর রয়েছে। এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৪০ কোটি টাকার বেশি।
নিউজবাংলাকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ মোহাম্মদ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ‘আগুনে যাদের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে কিংবা গৃহহীন হয়েছেন, তাদের আরআরআরসি কার্যালয়ের মাধ্যমে আশ্রয়শিবিরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে।
‘তাদের খাবার ও শীতের কাপড় দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে তাবু টানানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। হয়তো আজই (মঙ্গলবার) তাবুতে তারা থাকতে পারবে।’আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন রোববার রাতে জানান, ক্যাম্পের বি/১ ব্লকের মোহাম্মদ আলীর ঘরের গ্যাসচুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে তা বি ও সি ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবীদের প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এর আগেও বেশ কয়েকবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
গত ২ জানুয়ারি উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত করোনা হাসপাতালে আগুন লাগে। এতে কেউ হতাহত না হলেও হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের ১৬ কেবিন পুড়ে যায়।
এর আগে গত বছরের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীতে আগুনে পুড়ে মারা যান ১৫ জন রোহিঙ্গা। তখন প্রায় ১০ হাজার ঘর পুড়ে ছাই হয়েছিল।