নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার চাপের অভিযোগকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের নতুন কোনো চাল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ার মিশনপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, ‘নানা অজুহাতে কর্মী-সমর্থকদের আটক করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে বারবার অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
‘নির্বাচন কমিশন বোবা ও অন্ধ হয়ে গেছে। প্রতি রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ঘেরাও করছেন। প্রশ্ন করলে পুলিশ বলছে, তারা কিছুই জানে না।’
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নগরীর খানপুর এলাকায় গণসংযোগের সময় আইভী বলেন, ‘আমি দেখছি উনি প্রচার চালাচ্ছেন। তাহলে বারবার কেন অভিযোগ করছেন তা আমি জানি না। এটা হতে পারে উনার কোনো নতুন চাল বা কৌশল। আমি প্রভাব বিস্তার করি না। এভাবে প্রভাব বিস্তারের কোনো প্রশ্নই আসে না।
‘কারণ আমি নারায়ণগঞ্জের কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। সুতরাং আমি আমার মতো করে প্রচার করছি, উনি উনার মতো করে।’
নারায়ণগঞ্জের টানা তিনবারের মেয়র আইভী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মানুষ জানে আমার প্রভাব বিস্তার করার মতো লোকবল নাই। প্রশাসন কখনও আমাকে সহযোগিতা করে নাই। হঠাৎ করে প্রশাসন আমাকে সহযোগিতা করবে- এটা আমি বিশ্বাস করি না। প্রতিটা নির্বাচনের একটা রূপ থাকে। হয়তো তারা সেটা করছে, কিন্তু আমি জানি না।’
তৈমূরের নির্বাচনি সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যে নাশকতা হয়েছিল, সে মামলার আসামি রবি।
আইভী বলেন, ‘আমি প্রচারে ব্যস্ত। আমি উনার বিষয়ে জানি না। তবে আমি বলব সব ধরনের অস্ত্রধারী, মাদক ব্যবসায়ী ও বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। এটা শুধু আমি না, সব প্রার্থীর চাওয়া।’
আগামী ১৬ জানুয়ারির এই ভোটে আইভী ও তৈমূরের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানও সমানভাবে আলোচিত।
সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। বলেন, ‘কে প্রার্থী, হু কেয়ার্স? প্রার্থী আমগাছ হোক, আর কলাগাছ হোক। সব সময় নৌকার প্রতি সাপোর্ট।’
শামীম ওসমান প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘দল আমার পাশে আছে। এখন দলের ভেতর থেকে কে আমার পাশে আসবে সেটা আমার বিষয় নয়, দলের বিষয়। আমার আস্থা আমার দলের প্রধান, দল ও জনগণের ওপর। এর বাইরে কারো কাছে আমি আস্থা রাখি না।
‘আমি নিরপেক্ষ ভোট চাই। আমার ভোটাররা যেন ভোট দিতে যেতে পারে, সে জন্য প্রশাসনের যেন তৎপরতা থাকে এবং সেই পরিবেশটা যেন থাকে।’