নির্বাচন থেকে সরে যেতে নানাভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী ও বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, প্রয়োজনে তিনি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বসে নির্বাচন করবেন। তবু ভোট থেকে সরবেন না।
তৈমূর বলেন, ‘নানা অজুহাতে কর্মী-সমর্থকদের আটক করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে বারবার অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
নগরীর চাষাঢ়া মিশনপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন তিনি।
হাতি মার্কার এই প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বোবা ও অন্ধ হয়ে গেছে। প্রতি রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ঘেরাও করছেন। প্রশ্ন করলে পুলিশ বলছে, তারা কিছুই জানে না।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে উদ্দেশ্য করে তৈমূর বলেন, ‘উনি আমাকে ঘুঘু দেখেছেন ঘুঘুর ফাঁদ দেখেন নাই বলার পর থেকেই আমার লোকজনকে হায়রানি শুরু হয়েছে। আপনারা কী চান না নারায়ণগঞ্জের একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। আমি মনে করি, এই নির্বাচন নিয়ে যদি ঘুঘুর ফাঁদ দেখানো হয়, তাহলে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
তৈমূর বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় আমাদের রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতে বন্দরে আমার পক্ষে নির্বাচনে নামা মৌসুমি নামে এক নারীর স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে।’
বিএনপি কেনো নির্বাচনে যেতে চায় না এই প্রসঙ্গ টেনে তৈমূর বলেন, ‘এর জলজ্যান্ত প্রতিচ্ছবি নারায়ণগঞ্জ। আমার লোকজনকে তুলে নিয়ে যায়, এটা নির্বাচনের বাধা বলে আমি মনে করি। নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কা সেটি আরও শক্তিশালী হচ্ছে।’
তৈমূর আলমের নির্বাচনি সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম রবি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক।
মেয়র পদপ্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপির উপদেষ্টা কাউন্সিল থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার পক্ষে নির্বাচনি কাজ করছেন।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যে নাশকতা হয়েছিল, সে মামলার আসামি রবি। এজাহারনামীয় এ আসামিকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’