কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া এলাকায় তিন যুবকের বিচক্ষণতায় বেঁচে গেছে বিলুপ্ত প্রজাতির বনবিড়ালের পাঁচটি ছানা।
সোমবার রাতে ৮টার দিকে বন বিভাগ ও বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) এর প্রতিনিধিদের কাছে ওই ছানাগুলোকে হস্তান্তর করেন স্থানীয় তিন ভাই তন্ময়, তানভীর ও আনাস।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি রাতে শালঘর মধুয়ার স্থানীয় কয়েকজন বনবিড়ালের ছানাগুলোকে দেখতে পেয়ে আটক করেন। পরে ওই এলাকারই তন্ময়, তানভীর ও আনাস ছানাগুলোকে উদ্ধার করে নিজদের হেফাজতে নেন এবং বিবিসিএফ কুষ্টিয়ার টিমকে খবর দেন।
সোমবার শালঘর মধুয়ায় গিয়ে হাজির হন বন বিভাগ ও বিবিসিএফ কুষ্টিয়ার প্রতিনিধিরা। পরে বিবিসিএফ ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ৫টি বনবিড়াল ছানার মধ্যে সুস্থ দুটিকে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়। আর আহত তিনটি ছানাকে সুস্থ করে তুলতে বন বিভাগের হেফাজতে নেয়া হয়।
এ সময় বন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদ, বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন কুষ্টিয়ার প্রধান শাহাবউদ্দিন মিলন, পাখি গবেষক এস আই সোহেল, নাব্বির আল নাফিজ উপস্থিত ছিলেন।
জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষক শাহাবউদ্দিন মিলন জানান, উদ্ধার হওয়া ছানাগুলো বনবিড়ালের বিরল প্রজাতির।