বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণে এবার রিফাইনারি পরিদর্শন

  •    
  • ১০ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:২৪

মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই পরিদর্শন কার্যক্রমের আওতায় প্রাথমিকভাবে সরকার গঠিত কমিটি দেশের বড় দুইটি কোম্পানির রিফাইনারি পরিদর্শন করবে। এগুলো হচ্ছে- রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের বিপণন কোম্পানি বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড এবং তীর ব্র্যান্ডের সয়াবিনের বিপণন কোম্পানি সিটি গ্রুপ।

বাজারে ভোক্তাপর্যায়ে সরবরাহকৃত ভোজ্যতেলের হালনাগাদ সঠিক দাম কত হওয়া উচিত, তা বের করতে এবার সরেজমিনে কোম্পানিগুলোর পরিশোধনাগার (রিফাইনারি) পরিদর্শন করা হবে। সরকার গঠিত ‘মুল্য নির্ধারণ পদ্ধতি সংশোধন ও ব্যয় বিবরণী হালনাগাদ’ সংক্রান্ত কারিগরি কমিটি এবার রিফাইনারিগুলো পরিদর্শন করতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই পরিদর্শন কার্যক্রমের আওতায় প্রাথমিকভাবে কমিটি দেশের বড় দুইটি কোম্পানির রিফাইনারি পরিদর্শন করবে। এগুলো হচ্ছে- রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের বিপণন কোম্পানি বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড এবং তীর ব্র্যান্ডের সয়াবিনের বিপণন কোম্পানি সিটি গ্রুপ।

কমিটির প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এএইচএম সফিকুজ্জামান ১০ সদস্যের এই কারিগরি টিমের নেতৃত্ব দেবেন।

দেশে বর্তমানে ভোজ্যতেলের আমদানিকারক, পরিশোধন ও বিপণনকারী ১৭টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে রিফাইনারি আছে বা পরিশোধন হয় ১১টি কারখানায়। তবে এর সবকটি সক্রিয় নয়। এ পরিস্থিতিতে পাঁচটি বড় কোম্পানির পরিশোধন কারখানাই এখন বাজার নিয়ন্ত্রণকারী হয়ে উঠেছে।

সক্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে সিটি গ্রুপ। পরের অবস্থানে টিকে গ্রুপ। এরপরের অবস্থানে মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড।

তবে বোতলজাত সয়াবিনের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের তেল বাজারজাতকারী বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, তীর ব্র্যান্ডের তেল বাজারজাতকারী সিটি গ্রুপ ও ফ্রেশ ব্র্যান্ডের তেল বাজারজাতকারী মেঘনা গ্রুপ।

এ তিনটি কোম্পানি বোতলজাত সয়াবিন তেলের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বাজার দখল রেখেছে এবং তাদের প্রত্যেকের বাজার অংশীদারত্ব বা মার্কেট শেয়ার পরস্পরের কাছাকাছি।

বাজারে ভোজ্যতেল ও চিনির মূল্য কত হবে, দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিলে কত কমবে কিংবা আদৌ কমবে কি না-মূলত এই কয়েকটি কোম্পানিই ঠিক করেন।

তবে বর্তমানে মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া নিয়ে খোদ সরকার থেকেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সরকার মনে করছে, প্রক্রিয়াটি হালনাগাদ করার সুযোগ রয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারনির্ভর এ দুটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বর্তমানে যেভাবে নির্ধারণ হচ্ছে, সেটির সূত্র এক দশক পুরোনো। পদ্ধতিটি হালনাগাদ হলে তা ভোক্তা ও ব্যবসায়ী উভয়পর্যায়ে মূল্য সমন্বয়ের সুযোগ তৈরি হবে।

এরই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি সরকার ভোজ্যতেল ও চিনির দাম নির্ধারণের পদ্ধতি পাল্টানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে গত ৪ জানুয়ারি ভোজ্যতেল ও চিনির ‘মুল্য নির্ধারণ পদ্ধতি সংশোধন ও ব্যয় বিবরণী হালনাগাদ’ সংক্রান্ত কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিটির প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এএইচএম সফিকুজ্জামান সোমবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে জানান, ‘পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ভোজ্যতেল ও চিনির মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি সংশোধন ও ব্যয় বিবরণী হালনাগাদের উদ্দেশ্যে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে আগামীকাল মঙ্গলবার রিফাইনারিগুলো পরিদর্শনে যাবো।’

দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সব কারখানার রিফাইনারি তারা পরিদর্শন করবেন না। বাজারপর্যায়ে যাদের প্রভাব আছে তাদের থেকে বাছাই করে প্রাথমিকভাবে সিটি গ্রুপ ও বাংলাদেশ এডিব অয়েল লিমিটেডের পরিশোধন কারখানা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, রিফাইনারি পর্যায়ে এ দুইটি কোম্পানির নমুনা পর্যালোচনা করলেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী পণ্যগুলোর হালনাগাদ দাম নির্ধারণের একটা ধারনা পাওয়া যাবে। এরপরও যদি কারিগরি কমিটির কারও কোনো ওজর-আপত্তি থাকে, তাহলে পরে আরও এক-দুইটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হতে পারে।

সরকার গঠিত কারিগরি কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া এবং এবং ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মামুনূর রশিদ।

সদস্য সচিব হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সহকারি প্রধান মো. মাহমুদুল হাসান। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর এবং ভোজ্যতেলের শীর্ষ আমদানিকারক, পরিশোধন ও বিপননকারী কোম্পানি সিটি, এসআলম, মেঘনা ও টিকে গ্রুপ এবং বাংলাদেশ এডিবঅয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মনোনীতি প্রতিনিধিরা এই কারিগরি কমিটিতে রয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর