ইন্ট্রা ভাস্কুলার লিথোট্রিপসি (আইভিএল) প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো হার্টে রিং প্রতিস্থাপন করেছেন হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একদল চিকিৎসক।
৭৪ বছর বয়সী এক রোগীর হার্টে রিং পরাতে সোমবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে।
এই অস্ত্রোপচারে নেতৃত্বে দেন হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দীন। তার সঙ্গে ছিলেন আরও ১০ চিকিৎসক।
নিউজবাংলাকে মীর জামাল উদ্দীন বলেন, ‘দেশে ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি চিকিৎসায় আইভিএল নতুন প্রযুক্তি। দেশে এই পদ্ধতিতে প্রথম কোনো রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হলো। অস্ত্রোপচার করতে সময় লেগেছে প্রায় এক ঘণ্টা। রোগী এখন ভালো আছেন।’
আইভিএল পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কোনো রোগীর করোনারি ধমনিতে অনেক পরিমাণে ক্যালসিয়াম জমার কারণে এটি ব্লক হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। তখন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।’
‘হার্টে রিং পরানোর আগে জমাট বাঁধা ক্যালসিয়াম সরানোর দরকার হয়। ক্যালসিয়াম অনেক বেশি পরিমাণে জমলে তখন আইভিএল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে করোনারি ধমনিতে একটি বেলুন প্রবেশ করানো হয়। এটি অনেক উন্নতমানের হয়। বাইরে থেকে চাপ দিয়ে বেলুনটি ফুলিয়ে ক্যালসিয়ামের মোটা স্তরটি ভেঙে ফেলা হয়। এতে হার্টের কোনো ক্ষতি হয় না। শুধু ক্যালসিয়ামের পুরু স্তরটি ভেঙে যায়। এরপর হার্টে রিং পরানো অনেক সহজ হয়ে যায়।’
তিনি জানান, বাইরের দেশে শুধু আইভিএল করাতে ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। এর সঙ্গে দুটি রিং কিনতে সর্বনিম্ন দেড় লাখ টাকার প্রয়োজন পড়ে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এ সেবা চালু হওয়ায় এখন থেকে রোগীরা কম খরচে চিকিৎসা করাতে পারবেন।
আইভিএল পদ্ধতিতে হার্টে রিং প্রতিস্থাপনে চিকিৎসক টিমে ছিলেন হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার ডা. শাহরিয়ার সাকিব, ডা. মাহমুদুল হাসান মাসুম, ডা. মিজানুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদ মাহমুদ খান, চিফ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. তরিকুল ইসলাম ও ক্যাথল্যাব ইনচার্জ বেবি আক্তারসহ অন্যরা।