করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আবারও মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ দিল সরকার। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ। আর তাতেই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট নিয়ে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সোমবার সন্ধ্যায় জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার কার্যকর হবে এই আদেশ। তাতে প্রার্থীরা বঞ্চিত হবেন জমজমাট প্রচার থেকে। পারবেন না স্বাভাবিক নিয়মে নিজের পক্ষে ভোটারদের কাছে টানতে।
১৬ জানুয়ারি ওই সিটিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে জমে উঠেছে নির্বাচনি লড়াই। আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং তৈমূর আলম খন্দকার।
এর মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মানুষের চলাচল ও জমায়েতে জারি করে বিধিনিষেধ।
গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহন, মাস্ক ছাড়া বাইরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা, টিকা কার্ড ছাড়া রেস্তোরাঁয় ঢুকতে মানার পাশাপাশি এতে বলা হয়, ‘কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধ থাকবে।’
এর আগেও করোনাসংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারির পর বিভিন্ন এলাকায় ভোট পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জেও কি তাই হতে যাচ্ছে?- জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কমিশন নিশ্চয় বসবে। বসে এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তারপর বলা যাবে সিদ্ধান্ত কী।’
সিটি করপোরেশন নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে বন্ধ হয়ে যায় প্রচার। সেই হিসেবে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত নিজেদের পক্ষে প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন প্রার্থীরা। কিন্তু প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে আরোপ হচ্ছে বিধিনিষেধ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনও এই ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। বিধিনিষেধের সব শেষ নির্দেশনায় বলা আছে, কোনো এলাকায় বিশেষ কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবে।
কী ভাবছে নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন?
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন বন্ধের বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশ পাইনি।’