বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইভী-তৈমূর কারও পাশে নয়: নেতা-কর্মীদের জাপা

  •    
  • ১০ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:২৩

রাজধানী লাগোয়া এই জনপদে সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার- কার পক্ষে থাকবে জাতীয় পার্টি, এমন আলোচনা ছিল ভোটের শুরু থেকে। তবে প্রচার শেষ সপ্তাহে চলে এলেও বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন না দেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি।

দলের যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক সমরেশ মণ্ডল মানিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার বলা হয়, নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির কোনো নেতাকর্মী যদি নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে অংশ নেন, তাহলে অবিলম্বে তাকে নিষ্ক্রিয় হতে হবে। সিদ্ধান্ত অমান্য করলে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয় এতে।

এতে বলা হয়, আগামী ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের কোনো প্রার্থী নেই। তাই সেখানে কাউকে সমর্থন দেয়ার দরকার নেই।

দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নির্দেশে ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এই অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও জানানো হয়।

রাজধানী লাগোয়া এই জনপদে সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার- কার পক্ষে থাকবে জাতীয় পার্টি- এমন আলোচনা ছিল ভোটের শুরু থেকে। তবে প্রচার শেষ সপ্তাহে চলে এলেও বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।

দলের কেন্দ্র থেকে এতদিন সুস্পষ্ট কোনো ঘোষণা ছিল না। তবে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা তৈমূরের পক্ষে প্রচারে অংশ নিয়েছেন।

২০০৬ সাল থেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়া জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাদের এই ভূমিকা রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ তৈরি হয় কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।

বিএনপি যদিও তৈমূরকে সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে, তার পরেও মহানগরে প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ-বিএনপির লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। সেখানে মহাজোটের শরিক দলের প্রার্থীর বদলে তার প্রতিদ্বন্দ্বীর পক্ষে জাপা নেতাদের অবস্থান আওয়ামী লীগেও কিছুটা অস্বস্তি তৈরি করে।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচন থেকেই নারায়ণগঞ্জ সদর আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে। আওয়ামী লীগের সমর্থন অথবা ছাড়াই এটা সম্ভব করেছে। এর আগে ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে দলটির প্রার্থীরা সেখানে মোটেও সুবিধা করতে পারেননি।

২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ সদর আসন থেকে লাঙ্গল নিয়ে জেতেন জাতীয় পার্টির নেতা নাসিম ওসমান। তিনি আওয়ামী লীগের আলোচিত নেতা শামীম ওসমানের বড় ভাই।

নাসিম ওসমান মারা যাওয়ার পর তার ছোট ভাই সেলিম ওসমান সংসদ সদস্য হন আসনটিতে। তিনিও আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন।

শামীম ওসমান ও আইভীর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক বিরোধ আছে। এই বিরোধ দ্বিতীয় প্রজন্মে চলছে। পাকিস্তান আমল থেকে দুই নেতার বাবা শামসুজ্জোহা ও আলী আহম্মদ চুনকার বিরোধ চলে আসছিল।

এ বিভাগের আরো খবর