প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
শেখ রেহানাকে দায়িত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা- গণতন্ত্র কবরে গেছে। ভোট হয় না, লোকে ভোট দিতে পারে না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির মানববন্ধনে তিনি এসব কথা করেন।
আয়োজক সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির নির্বাহী সদস্য মোরশেদা বেগম ও তার পরিবারের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘জাতীয় সরকারের বিকল্প নেই। এখন আপনার অবস্থা এত খারাপ যে পশ্চিম দিগন্তে ডঙ্কা বাজা শুরু হয়েছে। এটা ঢাকতে আপনি দালাল নিয়োগ করেছেন। দালালরা কখনও সত্যকে চাপা দিতে পারে না।’
‘আপনারা উন্নয়নের কথা বলছেন। অথচ যে কাজ করা যেত ১০/১৫ হাজার কোটি টাকায়, সেটাই ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে করছেন। সব জায়গা অনাচার, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। এখন সম্ভবত আপনার বোঝার সময় হয়েছে যে, আপনার পদত্যাগ করা উচিত।
‘আপনি যদি বঙ্গবন্ধুকে সত্যিকার অর্থেই ধারণ করেন তাহলে উচিত হবে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সরকার গঠন করা। জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে যে অনাচারগুলো হচ্ছে সেগুলো বন্ধ করা। জাতীয় সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না।’
বিএনপির সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘গত দুইদিন ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বলতে শুনছি, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে বর্তমান সরকার বিরোধী দল দমন করছে। কিন্তু তাদের একটা নেতাকেও বলতে শুনলাম না তারা ক্ষমতায় গেলে এই আইন বাতিল করবেন কি না। কেবল হাসিনা খারাপ! শুধু তার বিরোধিতা করে লাভ নেই।’
‘আপনারা ক্ষমতায় গেলে কী কী পরিবর্তন করবেন ঘোষণা দেন। একা কিছু করতে পারবেন না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নামুন। আপনাদের চরম ব্যর্থতা, খালেদা জিয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কিছুই করতে পারলেন না।’
নারায়ণগঞ্জে হামলার ঘটনার বিচার দাবি করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমার চারপাশে যারা রয়েছে প্রত্যেকেই হামলার শিকার। থানায় মামলা হলেও আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। কারা তাদের পৃষ্ঠপোষক? গডফাদারসহ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করছি।’
সংগঠনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে মানবন্ধনে আরো বক্তব্য দেন হামলার শিকার মোর্শেদা বেগম, আনোয়ার হোসেন অনু ও আব্দুল্লাহ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন অর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ জেলার জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম কাজল প্রমুখ।