মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় রাজবাড়ী সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে সাধারণ সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক দেবজ্যোতি নাগকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সভাপতি রাহাত শেখের বিরুদ্ধে। কলেজের পুকুরপাড়ে রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সন্ধ্যায় সাধারণ সম্পাদক দেবজ্যোতি নাগ সভাপতি রাহাত শেখসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
দেবজ্যোতি নাগ কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি। তার বাড়ি শহরের বিনোদপুরের ভাজনচালা এলাকায়।
অভিযুক্ত রাহাত শেখ কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি শহরতলির মেছেঘাটা এলাকায়।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, রোববার দুপুর ১টার দিকে কলেজের পুকুরপাড়ে সভাপতি রাহাত শেখ তার ছয়জন অনুসারী নিয়ে মাদক সেবন করছিলেন।
এ সময় সাব্বির শিকদার ও সোয়েব হাসান মুন নামে দুজন তাদের বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাহাতের নির্দেশে সহযোগী নাহিদ ও মেহেদী লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি সাব্বির ও সোয়েবকে মারধর করতে থাকেন।
বিষয়টি জানতে পেরে তিনি (দেবজ্যোতি) ঘটনাস্থলে গেলে তারা তাকেও মারধর করেন। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা তার গলা থেকে সোনার চেন এবং সাব্বির ও মুনের কাছে থাকা মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন।
একই সঙ্গে তাদের হত্যা করে লাশ গুম করার এবং মামলা করলে বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত শেখ জানান, তিনি সেখানে ছিলেন না। ঝামেলা লাগলে সেখানে তিনি এগিয়ে যান। মাদক সেবনের বিষয়টি সঠিক নয়। সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে দুজনের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।রাজবাড়ী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইফতেখার আলম প্রধান বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনার সত্যতা পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’