নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের নামে রাষ্ট্রপতি হকারগিরি করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের জনগণের চোখে ধুলা দেয়ার জন্য, জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার জন্য, কত তামাশা করছেন। রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে তিনি সংলাপও ডাকাচ্ছেন। আর সংলাপের নামে রাষ্ট্রপতি হকারগিরি করছেন। ট্রেনে যেমন হকাররা বড়ি বিক্রি করতে মজার কাহিনী বলতো মানুষ আকর্ষণবোধ করতো। এই রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সেই ধরনের হকার।’
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আর করোনার মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। করোনা যেমন রূপান্তর হচ্ছে, আওয়ামী লীগও নিজে রূপান্তর ঘটায়। এই দুইটি মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। আওয়ামী লীগও মানুষের জীবন কেড়ে নেয়, করোনাও মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। আজকে বাংলাদেশের জীবন কাড়ার এক রাষ্ট্র ব্যবস্থা করেছে এই নব্য বাকশালী আওয়ামী লীগ।
‘আওয়ামী লীগ আর করোনার মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। করোনা যেমন রূপান্তর হচ্ছে, আওয়ামী লীগও নিজে রূপান্তর ঘটায়। এই দুইটি মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। আওয়ামী লীগও মানুষের জীবন কেড়ে নেয়, করোনাও মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। আজকে বাংলাদেশের জীবন কাড়ার এক রাষ্ট্র ব্যবস্থা করেছে এই নব্য বাকশালী আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা চেষ্টা করছে বাংলাদেশ থেকে অপজিশন কণ্ঠস্বরকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করার জন্য। বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে কারাগারে আটকে রেখেছে। যে মামলায় কোনো সত্যতা নাই, কোনো প্রমাণ নাই, কোনোভাবে প্রমাণ করতে পারেননি, শেখ হাসিনা শুধু গায়ের জোরে বন্দি করে বিনা চিকিৎসায় তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আল্টিমেটলি যে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিফলন ঘটবে। তারা একটা তামাশা করে যাচ্ছে। হকারের সেই চমকপ্রদ কাহিনী ফাঁদতে চেষ্টা করছেন। কারণ প্রত্যেকটার পেছনেই তার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার, চিরদিন টিকে থাকার জন্য যা কিছু করার তিনি সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
‘সেটা আর লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষ তো জানেই, আস্তে আস্তে বিশ্বের কাছে সরকারের বোরখা খুলতে শুরু করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনার সরকারের সেই বোরখা সম্পূর্ণ খোলার আগে পদত্যাগ করুন। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, তাকে সুচিকিৎসার সুযোগ দিন। রুহুল আমিন গাজীকে মুক্তি দিন। তা নাহলে যখন সব কিছু উন্মুচন হয়ে যাবে। তখন পালিয়েও নিজের মুখ আর ঢাকতে পারবেন না।’
বিচারব্যবস্থারও সমালোচনা করলেন বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের বিচার নিয়ে অনেকেই বলেন, বিচার তো হবেই। কীভাবে ন্যায় বিচার হবে? কয়েক দিন আগে ১৯ জনকে টপকিয়ে আপিল ডিভিশনে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কারণ তাদের বিশ্বস্ত লোক হাইকোর্টে দরকার। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। এই কারণে এ ধরনের বেআইনি কাজ তারা করছে।’
এই সরকার একের পর এক কালাকানুন তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। বলেন, ‘কেন এই সরকার এত কালাকানুন তৈরি করছে? একজন আইন বিশেষজ্ঞ বলেছে, প্রতিটি কালাকানুন এক ধরনের অত্যাচার।’
সমাবেশে বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বর্তমান মহাসচিব নুরুর আমিন রোকন, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।