বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকায় জোর, এখনই বন্ধ নয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

  •    
  • ১০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:২৩

দীপু মনি বলেন, ‘আমরা যেটি করব, টিকা কর্মসূচিকে জোরদার করব। স্বাস্থ্যবিধি মানার কার্যক্রম ও মনিটরিং আরও জোরদার করব। যেভাবে সীমিত পরিসরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলছিল সেভাবেই চলবে।’

বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই টিকার আওতায় আসায় এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে কিনা, কিংবা কীভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে তা নিয়ে রোববার রাতে করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত সরকারের পরামর্শক কমিটির সঙ্গে সভা করেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘গতকালের আলোচনায় যেটি এসেছে, আমরা যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছিলাম তখন আমাদের সংক্রমণের হার ছিল ৭ বা তার কাছাকাছি। এখনও সে পর্যায়ে রয়েছে।

‘তবে যখন খুলেছিলাম তার থেকে এখন ভালো অবস্থানে আছি এই অর্থে যে, তখন কোনো ভ্যাকসিন ছিল না। এখন আমাদের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখন টিকার আওতায় চলে এসেছে, এ মাসের মধ্যে আশা করছি সবাই টিকার আওতায় চলে আসবে। অন্তত এক ডোজ টিকা সবার হয়ে যাবে। এ পরিস্থিতিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করব না।’

তবে টিকা কর্মসূচি আরও জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি।

দীপু মনি বলেন, ‘আমরা যেটি করব, টিকা কর্মসূচিকে জোরদার করব। স্বাস্থ্যবিধি মানার কার্যক্রম ও মনিটরিং আরও জোরদার করব। যেভাবে সীমিত পরিসরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলছিল সেভাবেই চলবে।

‘পরামর্শক কমিটির সাথে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখব। সাতদিন পরেই আবার বসছি। যদি কোনো সময় আমাদের কাছে মনে হয়, তাহলে বন্ধ করে দেব। আশা করছি, টিকাদান ব্যাপকহারে ঘটলে সে প্রয়োজনটা হয়তো হবে না।’

তিনি বলেন, ‘ওমিক্রনের যে ট্রেন্ড, যখন কেউ আক্রান্ত হচ্ছে পুরো বাড়ি ধরে, অর্থাৎ পুরো পরিবার আক্রান্ত হচ্ছেন। আমি আমার শিক্ষার্থীকে বাসায় রাখলেও তার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই। গত দেড় বছরে যে ঘাটতি হয়েছে সেটা পূরণে আমাদের চেষ্টা করতে হবে, সামনে যাতে ঘাটতি না হয় সে চেষ্টা করতে হবে।

‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তারা যতক্ষণ থাকবে তাদের সুরক্ষিত রাখতে আমরা চেষ্টা করব। কেউ সংক্রমিত কিনা তার নিজেরও কোনো সিম্টম আছে কিনা সেটাও আমরা মনিটর করব।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী থাকতে পারে যাদের ঝুঁকি বেশি, তাদের আমরা বলব তারা হয়তো না এসে অনলাইনেই ক্লাস করতে পারে। এরা কারা যারা এমিউন কম্প্রমাইজড অর্থাৎ ক্যানসার প্যাশেন্ট, কারও যদি ক্রনিক কিডনি অসুখ থাকে বা কারও যদি অ্যাজমা থাকে (শিক্ষার্থ-শিক্ষক)। আমরা বলব, তাদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে। আমাদের বিকল্প যে পদ্ধতি সেগুলোও আমরা চালিয়ে যাব।

‘কেবিনেট থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে ১২ জানুয়ারির পর থেকে টিকা না দেয়া কেউ যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না আসে। আমরা টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যাব। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হয়ে যাবে, আশা করছি আমরা। এ সময়ের মধ্যে যাদের টিকা দেয়া হয়েছে তারা ক্লাসে আসবে, যাদের দেয়া হয়নি তারা এ কদিন অনলাইনে বা টেলিভিশনে ক্লাস করবেন। টিকা পেয়ে যাওয়ার পর তারা ক্লাস করবেন সরাসরি।’

প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিকের ক্লাসও চলবে

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পাশাপাশি আগের নিয়মেই প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শ্রেণিতেও ক্লাস চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

তিনি বলেন, ‘১২ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো টিকার অনুমোদন দেয়নি। আমরা তাদের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করব।

‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল যেটা বলেছে, যে তারা কঠোর মনিটরিং করছেন এবং এখন পর্যন্ত কোথাও সংক্রমণের কিছু পাননি তারা। এখন আপাতত তারা ক্লাস চালিয়ে যাবেন।’

টিকা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী

সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী এরই মধ্যে করোনা প্রতিরোধী টিকা গ্রহণ করেছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫১ জন। এরমধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৮ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৭ লাখ ১৩ হাজার ৩০২ জন। মোট নিবন্ধন করেছেন ২৭ লাখের বেশি।

‘এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৯ লাখই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থীই টিকা নিয়েছেন। এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমরা আগামীকাল বসব।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আমরা যতোটা মনিটরিং করতে পারছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এটি চলছে। আমরা এটিকে আরও স্ট্রিক মনিটরিংয়ে নিয়ে আসতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকলকেই আমরা সেই মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসব।

‘আমরা কিছু অভিযোগও পেয়েছি। মাদ্রাসাগুলো বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসায় কম্প্লায়েন্সের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। যেহতু তারা আমাদের সরাসরি তত্বাবধায়নে নেই, এ জন্য মনিটরিং করা শক্ত। আমরা আশা করছি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের মনিটরিংয়ের মধ্যে আমরা যাতে নিয়ে আসতে পারি।’

এ বিভাগের আরো খবর