বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেমন আছেন ফাল্গুনী, সুব্রত

  •    
  • ১০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:১৬

সুব্রত বলেন, ‘বিয়ের বিষয়ে যাদের ঘোর আপত্তি ছিল, তারা এখন আমাকেই চেনে না। বাসায় বেড়াতে এলে ফাল্গুনীকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আমার ভাগনে-ভাগনি ওকে এতটাই পছন্দ করে যে ডাকলেও আমার দিকে ফিরে তাকায় না। সবাই ফাল্গুনীকে নিয়ে খুশি।’

ফাল্গুনী আর সুব্রতর বিয়ে নিয়ে যেমন মানুষের নানা কৌতূহল ছিল, তেমনি তাদের সংসার কেমন চলবে বা চলছে তা নিয়েও প্রশ্নের শেষ ছিল না।

বিয়ের এক মাস পার করে ফেলেছেন এই দম্পতি। জানালেন, দিব্যি সুখে সংসার করছেন তারা।

সুব্রত তো অনুযোগই করে বসলেন, বিয়ের পর তাকে যেন আর চেনেই না পরিবারের সদস্যরা। ফাল্গুনীকে নিয়েই সবাই মেতে থাকে।

গত ১ জানুয়ারি বিয়ের এক মাস হয়েছে বেসরকারি সংস্থা কোডেক-এর মাঠ কর্মকর্তা সুব্রত মিত্র ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগে কর্মরত ফাল্গুনী সাহার। তাদের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপায়। বিয়ের পর থাকছেন বরিশাল নগরীর বিএম কলেজ রোডে।

বাড়িতে ঢুকে খোঁজ করতেই দেখা যায়, দুই হাত না থাকা ফাল্গুনী চা করছেন। ঘরের সব কাজই তিনি এভাবে করে যান। ২০০২ সালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তার হাত দুটি কেটে ফেলতে হয়েছে।

ছোটবেলা থেকেই ফাল্গুনীকে চেনেন সুব্রত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দুজনের ফেসবুকে কথা হয়। ফাল্গুনীর হাত না থাকা কোনো সমস্যা মনে হয়নি সুব্রতর। একসময় প্রেমে পড়ে যান। প্রস্তাবও দেন।

সুব্রত বলেন, ‘প্রথম যখন ওকে প্রেমের প্রস্তাব দিই, তখন ও আমাকে রিফিউজ করে। ফাল্গুনী ভেবেছিল হয়তো আমি ওর সঙ্গে টাইম পাস করব। যখন বুঝতে পারে সত্যিই ভালোবাসি, তখন থেকে আমাদের একসঙ্গে চলা শুরু।’

দুই হাত না থাকা মেয়েকে বিয়ের বিষয়ে পরিবারকে রাজি করানো সহজ ছিল না সুব্রতর জন্য।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি পরিবারের একমাত্র ছেলে। দুই হাত ছাড়া মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হবে সেটা কেউ মেনে নিতে পারছিল না। তাদের মানানোটা পাহাড় সরানোর মতো কঠিন ছিল। পরিবারের সবার সঙ্গে আমি সিঙ্গেল টু সিঙ্গেল কথা বলি। তারপর সবাইকে রাজি করাই। আমি আসলে পরিবারের বাইরে কিছু করতে চাইনি। এরপর ১ ডিসেম্বর শংকর মঠ মন্দিরে বিয়ের পিঁড়িতে বসি।’

তবে বিয়ের পর সবাই ভালোভাবেই ফাল্গুনীকে মেনে নিয়েছে।

সুব্রত বলেন, ‘বিয়ের বিষয়ে যাদের ঘোর আপত্তি ছিল, তারা এখন আমাকেই চেনে না। বাসায় বেড়াতে এলে ফাল্গুনীকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আমার ভাগনে-ভাগনি ওকে এতটাই পছন্দ করে যে ডাকলেও আমার দিকে ফিরে তাকায় না। সবাই ফাল্গুনীকে নিয়ে খুশি।’

ফাল্গুনী বলেন, ‘সংসারজীবন দারুণ কাটছে। আমার শাশুড়ি আমাদের সঙ্গে থাকছেন। আমাকে সব সময় কাজে সহায়তা করেন। আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই তো চাকরি করি। দিন শেষে যখন ফিরি, তখন হাসি-আনন্দেই থাকি। আর পাঁচটা দম্পতির মতো আমাদেরও কথা-কাটাকাটি হচ্ছে। তবে ভালোবাসা আছে অফুরন্ত।’

এ বিভাগের আরো খবর