পিরোজপুরে অরবিন্দ দাস মহাদেব নামে এক বাসচালককে পেটানোর অভিযোগে গত ৫ জানুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে পিরোজপুর-বরিশাল রুটে বাস চলাচল।
এর মধ্যেই পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকে ঝালকাঠিতে চলছে আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন।
ধর্মঘটের সমাধান না করেই নির্বাচনকে অনেকেই ভিন্নভাবে দেখলেও শ্রমিক নেতাকর্মীদের দাবি, নির্বাচিত শ্রমিক নেতাই এ সমস্যার সমাধান করবেন।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি শ্রমিক নিয়ে, তাই এর সমাধান শ্রমিক নেতারাই করবেন। নির্বাচনের পরই এ সমস্যার সুরাহা হবে।’
এর আগে গত ৪ জানুয়ারি ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ডে চালককে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এর জেরেই বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে।
মারধরের অভিযোগ করে পিরোজপুর-বরিশাল রুটের বাসের চালক মহাদেব জানান, তিনি ঝালকাঠি থেকে যাত্রী নিয়ে মঠবাড়িয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে নিজেদের বাসে করে পরিবহনের জন্য হাজি পরিবহনের চালক ও হেলপাররা জোরাজুরি করেন।
যাত্রীদের নামতে বাধা দিলে তাকে ঝালকাঠিতে হাজি পরিবহনের অফিস কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে তাদের বাসচালকের নেতৃত্বে সুপারভাইজার-হেলপারসহ আরও কিছু কয়েকজন অরবিন্দকে মারধর করেন।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা নগদ ৩৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় দ্রুত সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান অরবিন্দ।
তবে অভিযোগের পাল্টা অভিযোগ এনে ঝালকাঠি জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমে ঝালকাঠির হাজি পরিবহনের চালক সুমনকে মারধর করে পিরোজপুরের কেএসআর গাড়ির চালক মহাদেব। ঘটনাটি পিরোজপুরের মঠবাবাড়িয়ার লোকাল বাস কাউন্টারে ঘটে।’
‘পরে ৪ জানুয়ারি মহাদেবকে ঝালকাঠি বাস টার্মিনালের অফিস কক্ষে ডেকে শ্রমিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করে। এখানে তাকে আটকে রেখে মারধর বা টাকা ছিনিয়ে নেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এ দিকে পিরোজপুর থেকে পাঁচ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ঝালকাঠির যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি হচ্ছে না বলে দাবি করেন স্থানীয় বাস মালিক ও শ্রমিকরা। তারা জানান, অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল অব্যাহত থাকায় যাত্রীদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।