৯ বছর আগে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির আন্দোলন-সহিংসতার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় দলটির ১০ নেতাকর্মীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে তাদের অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত-৯-এর বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
নাশকতার অভিযোগে এনে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ২০১৩ সালে রাজধানীর ভাষানটেক থানায় মামলাটি করেন পুলিশের উপ পরিদর্শক (এএসআই) জাহিদুল ইসলাম। মামলায় ২৪ আসামির মধ্যে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৪ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সুমন চন্দ্র, মো. জসিম, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. সোহেল, মো. কাওসার, মো. জুয়েল, আব্দুর রহমান, মো. শহীদ, মো. মহসীন ও মো. লিটন।
আর খালাস দেয়া হয়েছে ইসমাইল হোসেন, আজাদ হোসেন, বকুল হোসেন, নজরুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, নাড়ু জামাল, জিলাপি বাচ্চু, চিকু জামাল ওরফে চিকনা জামাল, মো. জলিল, মো. শামীম, কালা বাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম, ফিরোজ খান ও আব্দুস সালামকে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৬ নভেম্বর বিএনপিসহ ১৮ দল কর্তৃক ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ভাষানটেকে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যানার ককটেলসহ সমাবেত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশ সেখানে গিয়ে বিএনপি ও সংগঠনের ৫০-৬০ জন নেতাকর্মীকে দেখতে পায়। পুলিশ দেখে তারা দিক-বেদিক ছোটাছুটি করে। পুলিশ সেখান থেকে ১০ জনকে আটক করে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক, জীবন ও সম্পত্তি বিনষ্ট করার জন্য একত্রিত হয়েছিল। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা কৌশলে পালিয়ে যায়।
মামলাটি তদন্ত করে একই থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান ২০১৪ সালের ১ মার্চ আদালতে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করে বিচার কাজ শুরু করে আদালত।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। আসামিরাও তাদের পক্ষে চার জনের সাফাই সাক্ষ্য দেন।