চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ক্যানসার ওয়ার্ডের পাশে ক্যান্টিন সংলগ্ন খালি জায়গায় নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে, ১৫ তলাবিশিষ্ট ওই ভবনটি নির্মাণ হলে চট্টগ্রামেই মিলবে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের বিশেষায়িত সব সেবা।
নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যেই নির্ধারিত স্থানে থাকা বিভিন্ন স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে।
রোববার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে ওই ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান নিজস্ব কার্যালয় থেকে ওই ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খানসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মতে, নতুন ওই ভবন চট্টগ্রামের ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, ‘নতুন এ ভবনে ক্যানসার ইউনিটের পাশাপাশি কিডনি ও হৃদরোগ বিভাগও থাকবে। অন্তত দুটি ফ্লোর কিডনি বিভাগ ও ডায়ালাইসিস সেন্টারের জন্য বরাদ্দ থাকছে। এ ছাড়া সিসিইউসহ হৃদরোগ বিভাগের জন্য বরাদ্দ থাকছে আরও দুটি ফ্লোর। ১৫ তলা এ ভবনে প্রাথমিকভাবে মোট ৪৬০ শয্যা থাকবে। এর মধ্যে ক্যানসার চিকিৎসায় থাকবে ১০০টি শয্যা।’
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, বিশেষায়িত এই ক্যানসার ইউনিটে থাকবে ওয়ান স্টপ সার্ভিস, অপারেশন থিয়েটার ও আইসিইউ সুবিধা। এ ছাড়া ক্যানসারের চিকিৎসায় অপরিহার্য রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, ব্র্যাকিথেরাপি ও সর্বাধুনিক লিনিয়ার এঙিলেটর মেশিনও থাকবে। এর বাইরে থেরাপি গ্রহণে অক্ষম রোগীদের ব্যথা নিরাময়ে থাকবে প্যালেটিভ কেয়ার।
বিশেষায়িত ওই ইউনিটে ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের জন্য অন্তত ৫টি শয্যা থাকবে। ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ক্যানসারের চিকিৎসক ছাড়াও ইউনিটে অন্তত তিনজন অ্যানেসথেসিস্ট, ক্যানসার সার্জন ও মেডিসিনের চিকিৎসক থাকবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, চট্টগ্রামসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যার একটি করে ক্যানসার ইউনিট স্থাপনে এই প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৯ সালে।
ডিপিপি অনুযায়ী, ১০০ শয্যার ক্যানসার ইউনিট স্থাপনের জন্য ২টি বেইজমেন্টসহ ১৫ তলাবিশিষ্ট একটি করে ভবন নির্মাণের সংস্থান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে গণপূর্ত বিভাগ।