চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন প্যানেল। ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি এবং নিপুন লড়বেন সাধারণ সম্পাদক পদে।
রোববার প্যানেল সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন সভাপতি পদপ্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন। রাতে তিনি তার ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এর অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা এখনই প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করছি না। তবে কাঞ্চন-নিপুন প্যানেল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।’
কাঞ্চন আরও বলেন, ‘সাহায্য করে শিল্পীদের বাঁচানো যাবে না। শিল্পীকে বাঁচাতে হলে কাজ দিতে হবে। তেমন কিছু প্রোগ্রাম নিয়ে আমি ভাবছি।’
চলচ্চিত্রাঙ্গনে দ্বন্দ্ব চলছে উল্লেখ করে কাঞ্চন বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির একজন আরেজনকে দেখতে পারে না। ইন্ডাস্ট্রি যদি না বাঁচে তাহলে আমি শিল্পী সমিতি দিয়ে কি করব?’
ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে হলে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার আহ্বান জানান কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রেক্ষাগৃহের জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল দিয়েছেন। আমরা যদি একটা যথাযথ পরিকল্পনা তার কাছে দিতে পারি তাহলে কি তিনি সিনেমা নির্মাণের জন্য আরও ১ হাজার কোটি টাকা দেবেন না? অবশ্যই দেবেন এবং সেখান থেকে সরকার ট্যাক্স পাবে।’
সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়ে কাঞ্চন বলেন, ‘আপনাদের যদি কোনো পরিকল্পনা কিংবা সাজেশন থাকে তবে আমাদেরকে দিতে পারেন। আমি একটি পরিকল্পনা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে চাই এবং তাকে সেই প্রস্তাবটা দিতে চাই।’
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুন বলেন, ‘আমরা জিতলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এফডিসিতে নিয়ে আসবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া এফডিসিকে এখন বাঁচানো সম্ভব না। উনাকে সরেজমিনে দেখাবো উনার বাবার হাতে গড়া এফডিসির কী অবস্থা! আমার মনে হয় তিনি যদি একবার আসেন এফডিসির চেহারা পাল্টে যাবে।’
গত নির্বাচনে ১৮৪ জন সদস্যকে শিল্পী সমিতি থেকে বাদ দেয়ার প্রসঙ্গও ওঠে আয়োজনে। এক প্রশ্নের উত্তরে রিয়াজ বলেন, ‘যে ১৮৪ জন শিল্পীকে বাদ দেয়া হয়েছিল, সেটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া ছিল না। সমিতির নীতিমালা অনুযায়ী হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইলেকশনের আগে সেই ১৮৪ জনের মধ্য থেকে কিছু শিল্পী যারা নির্দিষ্ট একটি প্যানেলকে ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাদেরকেই সদস্যপদ দেয়া হয়েছিল। সে সময় আমরা বাঁধা দিয়েছিলাম, কিছু করতে পারিনি বলে সরেও এসেছিলাম।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নায়ক সাইমন সাদিক, নিরব, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু।