ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে মামলার আদেশ দেয়নি আদালত। এ নিয়ে অভিযোগের আদেশ শুনানি পিছিয়েছে দু’দফা।
অভিযোগের প্রমাণসহ রোববার বাদীকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হলেও মামলার বিষয়ে আদেশ দেয়নি মাদারীপুরের আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ফায়জুর রহমান হিরু।
গত ২৯ ডিসেম্বর হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে মাদারীপুর আদালতে অভিযোগ দেন রাজৈর উপজেলার মধ্য শাখারপাড় গ্রামের আব্দুল গনি মাতুব্বর।
অভিযোগটি নিয়ে মাদারীপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ফয়সাল আল মামুন আদেশের জন্য ৫ জানুয়ারি দিনধার্য করেন। সেদিন আদেশ না দিয়ে ফের দিনধার্য করা হয় ৯ জানুয়ারি। তবে এদিনেও আদেশ হয়নি।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী তার সমর্থকদের নিয়ে রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের মধ্য শাখারপাড় গ্রামের আব্দুল গনি মাতুব্বরের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় তারা বাড়ির কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করেন। মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় গোলাম রাব্বানীকে প্রধান করে ৮ থেকে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অর্ধশত মানুষকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ দেন আব্দুল গনি মাতুব্বর।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পর পর দুই দফা অভিযোগের শুনানি থাকলেও আদালত আদেশ দেননি। কবে দেয়া হবে সেটাও পরিস্কার জানতে পারিনি। ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে অভিযোগ দিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছি। আসামি প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা নিয়ে শঙ্কিত।’
অভিযোগের বিষয়ে গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘একটি মহল আমার ইমেজ নষ্ট করতে উঠে-পড়ে লেগেছে। আমি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করতে পারি, সেটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। আমি যে সোশ্যাল মুভমেন্ট করি তা প্রশ্নবিদ্ধ করতেই আদালতে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।আমি ন্যায় বিচার আশা করি।’
চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নে গোলাম রব্বানীর মামা সালাহ উদ্দিন আহমেদ চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। ২৬ ডিসেম্বর রাব্বানী গাংকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে প্রতিপক্ষ মোশারফ মোল্লার লোকজন তাকে কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় রাজৈর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। এতে মোশারফ মোল্লার ছেলেসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা পাল্টা মামলা হিসেবে বিবেচনা করছেন আদালতে দাখিল করা অভিযোগকে।