চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনাটি ভিডিও করার অভিযোগ এনেছেন ভুক্তভোগীর মা।
রোববার দুপুরে উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নে ওই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে থানায় এক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাইসাঙ্গা গ্রামের হারুনমিজির ছেলে শিমুল, নোয়াপাড়া গ্রামের বাহার পাটওয়ারীর ছেলে ইজাজ হোসেন এবং আষ্টা গ্রামের সাব্বির হোসেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের একটি স্কুল থেকে ছুটির পর বাড়ি ফিরছিলেন ওই শিক্ষার্থী। এ সময় অভিযুক্ত শিমুল তার পথ আটকে দাঁড়ান এবং তাকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী লিপি বেগমের বাড়িতে নিয়ে হাত বেঁধে ও মুখে কাপড় ঢুকিয়ে ধর্ষণ করেন।
এ কাজে শিমুলকে সহযোগিতা ছাড়াও ধর্ষণের ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও করেন ইজাজ ও সাব্বির।
এ ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামের লিপি বেগমের বিরুদ্ধেও।
ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেন ধর্ষণকারীরা।
দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ধর্ষণকারীরা উত্তক্ত করে আসছিলেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, ধর্ষণের বিষয়ে আমরা লিখত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। সোমবার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।