সহকর্মীকে যৌন হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে নাজেহালের অভিযোগে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফীনের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে কুষ্টিয়ায়।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যৌন হয়রানির শিকার সিটি ব্যাংকের সাবেক সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরা সুলতানা পপি, কুষ্টিয়া নাগরিক পরিষদের সমন্বয়ক ইমরান খান পলাশ, মৎস্যজীবী লীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস খন্দকার ও চিত্ত জোয়ার্দার।
সমাবেশে কুষ্টিয়ার মেয়ে মনিরা সুলতানা পপি বলেন, ‘আমি ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিটি ব্যাংকে কর্মরত ছিলাম। চাকরিকালীন সময়ে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফীনসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তার মাধ্যমে দফায় দফায় যৌন হয়রানির শিকার হই। এ ব্যাপারে বার বার ব্যাংকটির যৌন প্রতিরোধ কমিটির প্রধান ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মাহিয়া জুনেদকে জানিয়ে প্রতিকার পাইনি। বরং অন্যত্র চাকরি খুঁজে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয় আমাকে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, উপায়ান্তর না পেয়ে ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকার গুলশান থানায় সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফীনসহ অপর দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৬/৫০৬ ধারায় মামলা করেন তিনি। তখন তাকে অবৈধভাবে ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। ব্যাংকের কাছে পাওনা টাকাও বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে না। উল্টো পপির বিরুদ্ধে ব্যাংক ৬টি মামলা করেছে।
অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকির কারণে ঢাকা ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে নিজ গ্রাম কুষ্টিয়ায় অবস্থান করছেন বলে জানান পপি।
সমাবেশে উপস্থিতরা যৌন নিপীড়নকারী ব্যাংক কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার, অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।