ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে দুই গারো কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজনকে দু’দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। অপরজনকে পাঠানো হয়েছে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে।
রোববার ময়মনসিংহের দুটি আদালত পৃথকভাবে এ দিয়েছে।
ময়মনসিংহ ৬ নম্বর জিআর আমলি আদালতের মুখ্য বিচারিক হাকিম দেওয়ান মনিরুজ্জামান রোববার বিকালে পাঁচ আসামিকে দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা হলেন- শরীফ মিয়া, মিজানুর রহমান, মিয়া হোসেন, আব্দুল হামিদ ও রুকন মিয়া। তাদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
এছাড়া মামলার প্রধান আসামি সোলায়মান হোসেন রিয়াদকে একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক রাফিজুল ইসলামের আদালতে তোলা হয়। এ সময় বিচারক তাকে কিশোর সংশোধনা কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ময়মনসিংহের আদালত পরিদর্শক প্রসুন কান্তি দাস নিউজবাংলাকে বলেন, গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে পাঁচ আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে রোববার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বিচারক প্রত্যেককে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে মামলার প্রধান আসামি সোলায়মান হোসেন রিয়াদকে আদালতে তোলা হয়। কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
হালুয়াঘাট উপজেলার গাজীরভিটা ইউনিয়নে গত ২৮ ডিসেম্বর একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যায় দুই কিশোরী। রাতে ফেরার পথে কয়েকজন তাদের তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। ২৯ ডিসেম্বর পরিবারের সদস্যরা ঘটনা জানতে পারেন।
এ ঘটনায় এক কিশোরীর বাবা সোলায়মান হোসেন রিয়াদসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে গাজীরভিটা ইউনিয়নে সোমবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন গারো সম্প্রদায়ের শতাধিক নারী-পুরুষ।