দেশের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের কর্মক্ষেত্রে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
সেইসঙ্গে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন, তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুজ্জামান, অনিক দাস, আরিফুর রহমান ও জাহিদ হোসেন দোলন।
পরে আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের সব সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের দেয়া নির্দেশনা দীর্ঘ দিনেও বাস্তবায়ন না করায় বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করি।
আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দিয়েছে।
আদেশে আদালত বলেছে, রায়ের আলোকে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বা হবে তা জানাতে বলেছে।
আগামী ৯০ দিনের মধ্যে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব, আইন সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবকে জানাতে বলা হয়েছে।
দীর্ঘ দিনেও আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় আইন ও সালিস কেন্দ্রের পক্ষে গত বছরের ২১ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করা হয়।
কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন।
ওই রিটের শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের (প্রধান বিচারপতি হয়ে অবসরে গেছেন) হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ গ্রহণের জন্য ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠনসহ বেশকিছু নির্দেশনা দেন।
আদালতের নির্দেশনা দিয়ে দেয়া রায়ের পর প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় কেটে গেছে। কিন্তু রায়টি বাস্তবায়ন হয়নি। যে কারনে রায়টির বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে পুনরায় হাইকোর্টে রিট করে আসক।