স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে বন্ধুকে খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি ইমাম হোসেন ওরফে হৃদয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) আরিফ হোসেন রোববার আসামিকে আদালতে হাজির করে তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের হেফাজতে নিতে আবেদন করেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলাম আবেদন বিবেচনায় তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামি হৃদয়ের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আদালতে তুরাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই লিয়াকত আলী এসব তথ্য নিউজবাংলাকে জানান।
মামলায় বলা হয়, ঢাকার তুরাগ এলাকায় গত ৪ জানুয়ারি বৃন্দাবন বস্তির নিজ ঘরে স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধু রাসেলকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ক্ষিপ্ত হন। ঘটনাস্থলেই ছুরি দিয়ে রাসেলকে আঘাত করলে পরে তার মৃত্যু হয়। স্ত্রী আঁখি নূরকেও কুপিয়ে জখম করেন হৃদয়। পরে পালিয়ে যান।
নিহত রাসেলের বাবা সোহরাব হাওলাদার ৫ জানুয়ারি তুরাগ থানায় মামলা করেন।
অনুসন্ধানের পর গত শুক্রবার রাতে পটুয়াখালীর র্যাব-৮ সদস্যরা বরগুনার আমতলীর গাজীপুর এলাকা থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেন।
র্যাব জানায়, রাসেলকে খুন করার পরই গাবতলী বাসস্ট্যান্ড হয়ে কুয়াকাটায় চলে যান হৃদয়। পরের দিনই তার আপন খালাতো ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ গাজীপুর গ্রামের মনিরুল ফকিরের বাড়িতে আত্মগোপন করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া হৃদয় কুমিল্লার মুরাদনগর থানার ময়নামতি এলাকার মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে। তার বন্ধু রাসেল ও স্ত্রী আঁখি নূর একই এলাকার বাসিন্দা।
ছোটবেলার বন্ধু হওয়ায় রাসেল তার বন্ধু হৃদয়ের সঙ্গে তুরাগের একটি বস্তিতে বসবাস করতেন। একই ঘরে হৃদয়, তার স্ত্রী ও বন্ধু রাসেল থাকতেন। এভাবে ধীরে ধীরে রাসেলের সঙ্গে হৃদয়ের স্ত্রীর বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।